মাছ বিক্রেতাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলার শাখারীকাঠীতে বশির মুন্সি (৩৫) নামের এক মাছ বিক্রেতা যুবককে দূর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যার চেষ্টার ঘটনার দশ দিন অতিবাহিত হলেও এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ ও জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। যাতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গুরুতর আহত বশির ঘটনার পর থেকেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ২১ অক্টোবর রাতে বশিরকে নিজ বসত ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা কাটে। ডাকচিৎকারে স্বজনরা ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় ওই রাতেই বশিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে সংকটজনক অবস্থায় গভীর রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহত বশির উপজেলার শাখারীকাঠী গ্রামের মৃত. আঃ ছালাম মুন্সীর ছেলে। এ ঘটনায় আহতের পুত্র আরিফ বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন অজ্ঞাত নামা আসামী দিয়ে একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত ও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, তিন সন্তানের জনক বশির প্রায় ৫ বছর পূর্বে একটি অগ্নি দুর্ঘটনার পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। স্বামীর আয়-রোজগার না থাকায় বশিরের স্ত্রী নাজমা তার সন্তানদের পশ্চিম মিঠাখালী বাবার বাড়ীতে রেখে চট্টগ্রামে গার্মেন্টেসে চাকরি নেয়।
আহতের শ^শুর নুর মিয়া জানান, ঘটনার দিন সকালে সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছগিরের পুত্র মেহেদী তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে তার জামাই বশিরকে বেধরক মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ওই দিন রাতে একাকি বসত ঘরে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত এগারোটার দিকে ডাকচিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন বশিরের ঘরে গিয়ে তার গলায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখতে পায়।
আহত বশির বরিশাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুঠোফোনে জানান, তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রতিবেশী কবির, সেলিম ও তার পিতা নিজাম হাওলাদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের খুজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয় চলছে।