বখাটে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বড়মাছুয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুল ছাত্রীর দুই গালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় বখাটে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বড়মাছুয়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) উপজেলার রড়মাছুয়া বাজার সম্মূখ সড়কে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে এক ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। পরে ওই বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বাবু সুশীল চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, বিদ্যালয়ের সিনিয়র ইন্সট্রেকটর মোঃ মোশারেফ হোসেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য মোঃ জাফর মৃধা, হারুন অর রশিদ, জিয়াউর রহমান, নির্যাতিতা ছাত্রীর মা তাসলিমা বেগম ও শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মহারাজ হাওলাদারের বখাটে ছেলে সাব্বির হাওলাদারকে দ্রæত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবী জানান। গত ৫দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ ওই বখাটেকে গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাব্বিরকে দ্রæত গ্রেপ্তার করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চেয়ে এলাকাবাসী পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়মাছুয়ার ইউনিয়নের ঠুটাখালী গ্রামের সৌদি প্রবাসী ৯ম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া মেয়ে ও স্থানীয় বড়মাছুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ২৬ নভেম্বর রোববার দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে সাব্বির কথার ছলে ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। ওই ছাত্রী কথা না শুনলে ধ্বস্তাদস্তির এক পর্যায় বখাটে সাব্বির হাতে থাকা বেøড দিয়ে ওই ছাত্রীর গালে পোচ দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে পালিয়ে যায়।
ছাত্রীর ডাক চিৎকারে সহপাঠি ও স্থানীয়রা গুরুতর আহত ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন- অভিযুক্ত ওই সাব্বিরের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। আমরা সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাব্বিরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যহত আছে।