মঠবাড়িয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে টেটাঁ বিদ্ধ করল বড় ভাইকে
স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব শত্রুতা ও সুপারি পারাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার গুলিসাখালী গ্রামে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাই ও ভগ্নিপতি টেটাঁ বিদ্ধ করেছে বড় ভাই নুরু হাওলাদার (৪০) কে। এসময় বড় ভাইকে বাঁচাতে এলে ছোট ভাই ও তার দলবল ফারুক হাওলাদার (৪৫) নামের এক প্রতিবেশীকেও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত নুরু মিয়া উপজেলার গুলিসাখালী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের পুত্র।
আহত নুরুর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী লাভলী জানান, গতকাল দুপুরে তার ননদ ফাতেমা বেগম পূর্ব গুলিসাখালী স্বামীর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ীতে লোক নিয়ে সুপারি পারতে যায়। এসময় তার স্বামী নুরু মিয়া ওই কাঁচা সুপারি পারতে বাধা দেয়। এ নিয়ে ভাই ও বোনের ঝগড়া হয়। এতে বোনের পক্ষ অবলম্বন করে যোগ দেয় ছোট ভাই সাদ্দামও। পরে এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় নুরু মিয়ার সাথে ছোট ভাই সাদ্দাম, বোন ফাতিমা ও তার স্বামী পাঞ্জুর বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সাদ্দাম ও পাঞ্জু মিলে বড় ভাই দিনমজুর নুরু মিয়াকে পুকুরে ফেলে দেয়। পুকুর থেকে উঠতে গেলে সাদ্দাম ও ভগ্নিপতি মিলে তিন কাটার চল নিক্ষেপ করে। স্থানীয়রা ওই রাতেই টেটাঁসহ নুরু মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর টেটাঁর মাথার অংশ মেশিন দিয়ে কেটে ফেলার পর শরীরে বিদ্ধ থাকা তিন কাটাসহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, নুরুর সাথে ভাই সাদ্দাম ও বোন ফাতিমার দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বাবাকে ভরণ পোষণ দেয়াসহ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, সাদ্দাম ও নুরু দুইজনই খারাপ প্রকৃতির লোক। ঘটনার কথা শুনেই তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে আহত নুরুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। বড় ভাইকে টেটাঁ বিদ্ধের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।