মঠবাড়িয়ায় দস্যুবৃত্তিসহ একাধিক মামলার আসামী মাদকসেবীকে ৩৬ ঘন্টা আটকে রেখে ছেড়ে দিল পুলিশ!
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক চিিহ্নত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামীকে মদ্যপান অবস্থায় আটকের খবরে জনমনে স্বস্তি ফিরে এলেও ৩৬ ঘন্টা থানায় আটকে রেখে রহস্যজনক কারণে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। আদালতে সোপর্দ না করে ছেড়ে দেয়ায় জনমনে পুলিশের ওপর বিরুপ প্রতিক্রয়া সৃষ্টি হয়েছে। ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান আটককৃত ওই মাদক সেবিকে আদালতে না পাঠিয়ে মঠবাড়িয়ায় থানার ওসি রহস্যজনক কারনে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠায়। পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপারকে ভুল বুঝিয়ে ওই মাদক সেবিকে রক্ষার জন্য তাকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর অপকৌশল নেয় থানার ওসি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিষয়টি অভ্যন্তরিণ ভাবে তদন্ত করে দেখছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। সন্ত্রাসী নুসরাত শাহী মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রভাবশালী নাজমুল আহসানের ছেলে। অভিযোগ রয়েছে নুসরাত এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ত্রাসসৃষ্টি করে নিজেকে কিংজল নামে পরিচয় দেয়। তার বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালী থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা, মঠবাড়িয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে দস্যুতা ও ছিনতাইয়ের পৃথক আরও দুটি মামলা রয়েছে। তিনটি মামলায়ই সে এজাহারে অভিযুক্ত। এছাড়াও নুসরাত শাহী বিভিন্ন অপকর্মসহ মাদকসেবন করায় একাধিক বার আটক হলেও অর্থ ও প্রভাবের কারণে ছাড়া পেয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মদ্যপান অবস্থায় গত ২৭ মে রোববার নুসরাত শাহী (কিংজল) কে রাত ১০টার দিকে পৌর শহর থেকে আটক করে পুলিশ। পরে পরিবারের স্বজনদের সাথে দুইদিন ধরে কয়েক দফা বৈঠক শেষে রহস্যজনক কারনে আদালতে সোপর্দ না করে ২৯ তারিখ সকাল ১০টায় আটকের ৩৬ ঘন্টা পর ওই মাদক সেবিকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠায়। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, নেশা করে মা-বাবকে মারধরের অভিযোগে নুশরাত শাহীকে আটক করা হয়েছিল। পরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আটককৃত নুসরাতকে বরিশাল মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠান হয়েছে। মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, আটক নুশরাতকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।