মঠবাড়িয়ার ভগিরথপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার চেষ্টার প্রতিশোধে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শামীম হাওলাদার (৪০) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। রোববার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার ভগিরথপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় মিরুখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি লাভলু তালুকদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবলীগ নেতার শরীর কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা আহত যুবলীগ নেতা শামীমকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শামীম উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ছোটশৌলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল মন্নান হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভগিরথপুর বাজারের জমি দখল নিয়ে উপজেলার যুবলীগ নেতা শামীম হাওলাদার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা লাভলু তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে ওই জমির দখলের বিরোধ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা লাভলু তালুকদারকে শামীম ও তার দলবল কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা লাভলু তালুকদারের বাবা বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা শামীম হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করে। ওই হত্যা চেষ্টা মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে শামীম হাওলাদার রোববার বিকেলে স্থানীয় ভগিরথপুর বাজারে দলীয় অফিসে যায়। এ সময় পূর্বে ওঁৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগ নেতা লাভলুর নেতৃত্বে ৫/৬টি মটরসাইকেলে ১৫/১৬ জনের ভাড়া করা দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় শামীম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে প্রকাশ্যেই কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। শামীরের শরীরে ১৮টি কোপের কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতের পিতা পৌর শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মন্নান হাওলাদার জানান, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী লাভলুর নেতৃত্বে ১৫/১৬ জনের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা আমার পুত্র ঠিকাদার ব্যবসায়ী শামীমকে হত্যা করার জন্য কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে তারা পালিয়ে যায়। শামীমের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ইউপি মেম্বর আব্দুস ছত্তার জানান, ঘটনার সময় শামীম ভগিরথপুর বাজারে আমার ঘরে আড্ডা দিচ্ছিল এই সময় ১৫/১৬ জনের একটি দল ধর ধর বলে শামীমের ওপর হামলা চালায়। এসময় শামীমকে একটি কোপ দিলে শামীম দৌড়ে বাদল দোকানদারের কাছে গেলে সেখানে বসেই সন্ত্রাসী তাকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী কোপায়। এতে সে গুরুতর জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার জানান, এ বিষয়ে কেহ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।