আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | দুপুর ১২:১৮

  • বাংলা English
সদ্য :

☉ নব নির্বাচিত এমপিকে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানের ফুলেল শুভেচ্ছা☉ প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত জাহাঙ্গীরের দাফন সম্পন্ন \ ঘাতক সিরাজুল গ্রেপ্তার☉ মঠবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ে রোধে তারুণ্যের কন্ঠ অনুষ্ঠিত☉ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন বানচালকারীদের কোন ছাড় নয়☉ বখাটে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বড়মাছুয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন☉ মঠবাড়িয়া-বড়মাছুয়া সড়কে কার্পেটিং কাজে আবারও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার : পিচ-পাথর নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ☉ বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আবদুর রশিদ মানিক মিঞা’র দাফন সম্পন্ন☉ ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রতাহারের দাবিতে মানববন্ধন☉ মঠবাড়িয়ায় থানার ওসি প্রত্যাহার☉ ১৮ মামলার আসামী ফল সোহেলসহ গ্রেপ্তারকৃত-১২জন জেল হাজতে

বিদ্যালয় খুললেও ভবন ধ্বসের আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস করছে শিশু শিক্ষার্থীরা

বিদ্যালয় খুললেও ভবন ধ্বসের আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস করছে শিশু শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার: মরণঘাতি করোনা ভাইরাসে দীর্ঘ ৫শ’ ৪৪ দিন বন্ধ থাকার পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও মঠবাড়িয়ার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী গত কয়েকদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কøাশ করছে। দীর্ঘ ছুটির পর শিশু শিক্ষার্থীরা পাঠদান করলেও ক্লাশে ফেরার আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ন ভবন। স্কুল ভবনের ছাদ ও ওয়ালের প্লাষ্টার ধসে পড়াসহ ব্যবহার অযোগ্য ভবনের কক্ষে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করতে বাধ্য হওয়ায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। ফলে ধসে পড়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে। খবর পেয়ে গত সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস বিদ্যালয় পরিদর্শণ করে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিকল্প ভাবে ক্লাশ চালু রাখার আশ্বাস দেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়Ñ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামে অবস্থিত ১১৬নং দক্ষিণ পূর্ব মিঠাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিগত-১৯৯৫ইং সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একতলা ভবন নির্মান করে। স্থানীয়দের অভিযোগ স্কুল ভবন নির্মানের শুরুতেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নি¤œ মানের কাজ করার অভিযোগ করেও কোন ফল পায়নি। এদিকে বিকল্প কোন ভবন না থাকায় ওই ভবনে চলে আসছে পাঠদান। দীর্ঘদিন ওই ভবন সংস্কার না করায় বহু আগেই বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করে। এর মধ্যে করোকালীন সময়ে দীর্ঘ ১৮ মাস বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গত ও চলতি বছরের অব্যহত ভারী বর্ষণে বিদ্যালয় ভবনটি আরো নাজুক অবস্থায় পড়ে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ২৫ বছর আগে নির্মিত চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট না করায় হাটু পানি-কাঁদা ভেঙ্গে বিদ্যালয় প্রবেশ করছে শিশুরা। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সিড়ি, পাথর, বালু উঠে গিয়ে বহু আগেই মাটির সাথে মিশে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ে ঢুকে দেখা যায়, নাজুক ২ কক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেনীর ৩০/৩৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাশে বসা। সবার মধ্যেই যেন এক ধরণের উৎকন্ঠা। এরমধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে কোমলমতিদের মধ্যে আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়। বহু আগেই ছাদের ও দেয়ালের প্লাষ্টার ধসে পড়া বিভিন্ন স্থানের রড বাহির থেকে দেখা যায়। ভবনের নাজুক দরজা, জানালার গ্রীলে মরিচা পড়ে মাটিতে পড়ে রয়েছে। পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী ফারজানা জানায়, দীর্ঘদিন পর ক্লাশ খুললেও আমাদের মাঝে আনন্দ নেই। ভয়ে থাকি কখন যেন ছাদ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে।
ওই বিদ্যালয়ের ইমন নামের পঞ্চম শ্রেনির আর এক ছাত্র জানান, মেঘ দেখলে অনেক সময় ক্লাস না করে বাড়ি যাই এবং পাঠদানে কক্ষে থাকলেও ভবন ধসে পড়ার আতংকে ঠিকভাবে ক্লাশে মনযোগী হতে আমারা পারছি না।
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সালে অত্র বিদ্যালয়টি বেসরকারী রেজিষ্ট্রার্ড থেকে সরকারী হলেও স্কুলটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তারা আরও বলেন, নতুন নতুন ভবন প্রতিবছর রংতুলি ও ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলেও ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন বা সংস্কারের জন্য রহস্যজনক কারনে কোন অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের সমস্যার বিষয়টি স্থানীয় এমপি স্হ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার জানালেও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা মুক্তা প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাশ করার কথা স্বীকার করে বলেন- আমি গত ১১ জুলাই-২০১৮ তারিখ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করি। ওই সময়েই বিদ্যালয়ের অবস্থা নাজুক ও জরাজীর্ণ ছিল। আমি যথাসময়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি অবহিত করি। দীর্ঘ সময়েও নতুন ভবন কিংবা বর্তমান ভবনটি সংস্কার হয়নি। তিনি আরো জানান, জরাজীর্ণ ভবনের কারনে প্রায়ই বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস পরিদর্শণ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ওই বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন ভবনের জন্য তালিকা তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাঠানো হলেও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে বিকল্প কক্ষের ব্যবস্থা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ (অ: দা:) বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনের বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসিক সমন্বয় উত্থাপন করলে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Comments

comments

আরও পড়ুন

নব নির্বাচিত এমপিকে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানের ফুলেল শুভেচ্ছা
নব নির্বাচিত এমপিকে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানের ফুলেল শুভেচ্ছা
নব নির্বাচিত এমপিকে ৬ ইউপি চেয়ারম্যানের ফুলেল শুভেচ্ছা
প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত জাহাঙ্গীরের দাফন সম্পন্ন \ ঘাতক সিরাজুল গ্রেপ্তার
প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত জাহাঙ্গীরের দাফন সম্পন্ন \ ঘাতক সিরাজুল গ্রেপ্তার
প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত জাহাঙ্গীরের দাফন সম্পন্ন \ ঘাতক সিরাজুল গ্রেপ্তার
মঠবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ে রোধে তারুণ্যের কন্ঠ অনুষ্ঠিত
মঠবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ে রোধে তারুণ্যের কন্ঠ অনুষ্ঠিত
মঠবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ে রোধে তারুণ্যের কন্ঠ অনুষ্ঠিত
অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন বানচালকারীদের কোন ছাড় নয়
অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন বানচালকারীদের কোন ছাড় নয়
অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন বানচালকারীদের কোন ছাড় নয়
বখাটে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বড়মাছুয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন
বখাটে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বড়মাছুয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন
বখাটে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বড়মাছুয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন
মঠবাড়িয়া-বড়মাছুয়া সড়কে কার্পেটিং কাজে আবারও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার : পিচ-পাথর নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ
মঠবাড়িয়া-বড়মাছুয়া সড়কে কার্পেটিং কাজে আবারও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার : পিচ-পাথর নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ
মঠবাড়িয়া-বড়মাছুয়া সড়কে কার্পেটিং কাজে আবারও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার : পিচ-পাথর নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ