ডা: রুস্তম ফরাজী এমপি‘কে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি করার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজিকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার (১১ মে) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মূখ সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ক্ষুব্দ মুক্তিযোদ্ধারা। এতে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক খান মজনু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতির মতিয়ার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম জালাল প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজি এমপি‘কে অমুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বলেন, তিনি আদৌ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি এবং লাল মুক্তিবার্তায় তাঁর নামও নেই। ২০০৫ সালে গেজেটে তাঁর নাম অন্তভূক্ত হয়। তখন জামাত-বিএনপির এমপি থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভূক্ত হয়। এ কারনে তাঁর বিরুদ্ধে ফুলঝুড়ি নিবাসী মৃত. আবুল হাসেমের পুত্র গাউস আকন (গেজেট নং- ৭২৯) বাদী হয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। যা তদন্তনাধীন রয়েছে। বক্তারা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতির পদ থেকে ডা. ফরাজীকে বাদ দিয়ে প্রকৃত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সভাপতি করার আহ্বান জানান।
এ ব্যপারে সংসদ সদস্য ডাঃ মো. রুস্তুম আলী ফরাজি এমপি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আমাকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি মনোনীত করেছেন। স্বচ্ছভাবে তালিকা প্রণয়নের জন্য আমি সাবেক উপজেলা কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন ও মুক্তিযোদ্ধ আঃ লতীফকে দায়িত্ব দিয়েছি।
তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অমুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ অস্বীকার করে ডাঃ ফরাজী আরও বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলাম এবং সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। তিনি পাল্টা অভিযোগ ছুড়ে বলেন, তালিকাভূক্ত শাহাদাৎ হোসেন রাজাসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তাদের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।