চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সাইফুল অবশেষে গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর ১০ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী বখাটে সাইফুলকে অবশেষে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামীর দেয়া তথ্য মতে গভীর রাতে মিরুখালী বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সাইফুল (২০) উপজেলার ওয়াহেদাবাদ গ্রামের মতিউর রহমান জমাদ্দারের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর ২০১৮ দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রী উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মিরুখালী বাজারে প্রাইভেট পড়তে যাবার পথে ওই ছাত্রীর পূর্ব পরিচিত সাইফুল কথা বলার জন্য রাস্তার পাশে একটি ঘরে ডেকে নেয়। এরপর ওই ঘরে ওঁৎ পেতে থাকা সাইফুল এর বন্ধু ইসমাইল, শাওন, নাজমুল মিলে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরর্পূবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষকরা ধর্ষণের অশ্লীল চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। এ ঘটনার পর পূনরায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারী’১৯ ধর্ষক সাইফুল ও ইসমাইল ওই ছাত্রী স্কুলে আসার পথে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধারাল চাকু নিয়ে ভয় দেখিয়ে আবারও শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। পরে ওই স্কুল ছাত্রী অভিভাবকদের জানালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় চার ধর্ষককে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ইসমাইলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাজহারুল আমিন বিপিএম জানান, গণধর্ষণের পর আসামী ইসমাইল গ্রেফতার হলেও অপর তিন আসামী ঘা ঢাক দিয়ে পালিয়ে ছিল। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরুখালী বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতরা করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেও আদালতে অস্বীকার করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবদুল্লাহ গণধর্ষণ মামলার ৩ আসামী গ্রেফতারের সতত্যা নিশ্চত করে জানান, মামলার অপর আসামী ইসমাইল জেল হাজতে রয়েছে। এবং গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।