স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আপন ভাগ্নী কলেজ ছাত্রী (১৬) কে ধর্ষনের অভিযোগ উঠছে আপন মামা পল্লী চিকিৎসক নিজাম বিল্লাহ (৪৫) এর বিরুদ্ধে। ধর্ষনের ঘটনার দশদিন পর ওই ছাত্রীর মা সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেয়েকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ছোট ভাইকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। পরে ওইদিন বিকেলেই পুলিশ পৌরশহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকা থেকে নিজামের মালিকানাধীন খাজা ডেন্টাল কেয়ার ও লিমু মেডিকেল হল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত নিজাম বিল্লাহ উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আবুল হাসেমের পুত্র।
পুলিশ ও ছাত্রী সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগষ্ট’২৩ তারিখ শনিবার দুপুরে নিজাম বিল্লাহ ফোনে আপন ভাগ্নী কলেজ ছাত্রীকে জরুরী কাজের কথা আছে বলে সরকারী কলেজ পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার চেম্বারে আসতে বলে। ওই ভাগ্নী চেম্বারে এলে একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। লোক লজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি কাউকে না বললেও সে তার মাকে জানায়। আপন মামা তার সম্ভ্রমহানী করেছে এ লজ্জায় সে গত কয়েকদিন ধরে বিষ নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে ওই ছাত্রীর মা তার মেয়েকে নিয়ে আজ সোমবার থানায় গিয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভিকটিম ওই ছাত্রীর মা জানান, আমার লম্পট ভাই আমার মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, নিজামের দু’স্ত্রী থাকলেও সে একাধিক নারী গঠিত কেলেংকারীর সাথে জড়িত।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর পরই এ ঘটনায় জড়িত নিজাম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ভিকটিম ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত নিজাম বিল্লাহকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ায় জতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জেষ্ঠ্য পুএ শহিদ ক্যাপ্টেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে শনিবার (৫ আগষ্ট) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োাজনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও গাছের চারা বিতরণ।এ উপলক্ষে সকাল ১০ টায় উপজেলা শহীদ মাখন লাল দাস মিলনায়তন সম্মুখে শহীদ কামালের প্রতিকৃতিতে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুষ্প মাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদূল কাইয়ূম এর সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান, প্রবীণ আ’লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ইয়ং অফিসার মজিবুল হক খান মজনু, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস ইসলাম, থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল হালিম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মজিবর রহমান, শিক্ষাথী মৌমিতা বিনতে মনির প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ২০ জন কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ চারা বিতরণ করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্থানীয় মিরুখালী বাজার সংলগ্ন বাধের সাফ কবলা মুলের জমিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাইন বোর্ড টানিয়ে জমি দখল করে দোকান ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নেতা ইলিয়াছ উদ্দিন হেলাল মুন্সী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। জবর দখলকারী প্রভাবশালীরা গত শুক্র,শনিবার ও গতকাল রোববার তিনদিন ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী ৩নং মিরুখালী ইউনিয়ন বাজার ও ৪নং দাউদখালী ইউনিয়ন সংযোগ খালের বেরিবাধেঁর দু’পারে পাইলিং দিয়ে জমিতে ভরাট করে দোকান ঘর দখল করে দোকান নির্মানের চেষ্ঠা চালায়। জমির মালিকরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন কতৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান- মিরুখালী বাজারের জে,এল ২৬ নং নাপিতখালী এস,এ ১০৪ নং খতিয়ানের ১১৯৪, ১১৯৫ নং দাগের সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক অতুল চন্দ্র হালদারের কাছ থেকে সাফ কবলা দলিল মূলে ৫.৫০ শতাংশ জমি ১৯৮০ইং সনে দাউদখালী ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন আহসাব মেম্বার মালিকানা প্রাপ্ত হন। ওই জমিতে গায়ের জোরে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হেলাল মুন্সী ও দাউদখালী ইউপির ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যা মনিরা আক্তারের স্বামী যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জাকির, জামাল হোসেন মুন্সী ও মোয়াজ্জেম মেম্বরের ছেলে আলিমের নেতৃত্বে একদল লোক ২ জুন শুক্রবার থেকে তিন দিন ধরে প্রকাশ্যে বেরি বাঁেধর উপর ইউপি সদস্য আসাহাব, ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র হালদার ও বিমল চন্দ্র হালদারের প্রায় ৪০লক্ষ টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ জমি জবর দখল করে দোকান ঘর উত্তোলনের কাজ শুরু করেন। ভূক্তভোগীরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হানকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক তিনি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেন।
স্থানীয়রা জানান- প্রভাবশালীরা ক্ষমতাসীন দলের সাইনবোর্ড ও নাম ভাঙ্গিয়ে ঘাপটি মেরে থাকা ভূমি দস্যুরা ঘর উত্তোলনে পাঁয়তারা করলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিনে পরিদর্শন করলে তার সত্যতা পান। এ ঘটনায় মিরুখালী বাজারের সর্ব স্তরের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জমির মালিক নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন-২০১০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড মিরুখালী বাজারের এক জায়গার অনুমোদিত বাধ একটি প্রভাশালী মহল কতৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের জমির ওপর জোর পূর্বক বাধ নির্মান করেন। এর প্রতিবাতে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন সহ ওই সময়ে সংশ্লিষ্ঠ পানি মন্ত্রীর বরাবরে বাধ অপসানের আবেদন করেও কোন ফল পাইনি। এরপর দখলদারদের দখলের কারনে শেষ সম্বল জমিটুকু হারিয়ে তিনি নিস্ব। আ’লীগ নেতা পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ইলিয়াছ উদ্দিন হেলাল মুন্সী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ওই জমির মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই জমি অধিগ্রহণ করে নিয়েছেন। যার কাগজ আমার কাছে আছে। তিনি আরও বলেন, একটি মহল আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এখানে কোন ব্যক্তি মালিকানা জমি নেই। আমি এ দখলের ব্যাপারে জড়িত নই বরং দখলদারদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও মিরুখালী ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্র্প্তা সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফ বলেন, উপজেলা আ’লীগের প্রভাবশালী এক নেতা ও দাউদখালী ইউনিয়ন আ’লীগের এক নেতার নেতৃত্বে দুই পাড়ের জমি দখল করে দোকান ঘর উত্তোলনের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগ দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারেন যা ইউনিয়ন আ’লীগ পারে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান বলেন- ঘর উত্তোলনের বিষয়টি অবহিত হয়েছি এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ দেয়া হয়েছে।
নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেহ সরকারী সম্পত্তি জবর দখল করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক (বর্তমানে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ) ওসি নূরুল ইসলাম বাদলের বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা নিতে আসা এক কলেজ ছাত্রীর সাথে অশ্লীল আচরণসহ কু-প্রস্তাব দেয়া ও অশ্লীল ব্যবহারের অভিযোগ ওঠছে। ওই ছাত্রী তৎকালীন ওসির কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ওসি বাদল কথিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে ছাত্রীর ছবি দিয়ে মিথ্যা ভিডিও ছড়িয়ে ভাইরাল করে ও অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ, মামলাসহ বিভিন্ন রকম হুমকি ও হয়রানীর বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার দেবত্র গ্রামের রত্তন তালুকদারের মেয়ে ও পাশর্^বর্তী কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি ৩য় বর্ষের ছাত্রী সালমা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার মাদ্রাসা পড়–য়া ছোট ভাই তাওহিদকে বিদেশে পাঠানোর কথা বললে তাদের পূর্ব পরিচিত আদম ব্যবসায়ী উপজেলার তাফালবাড়ীয়া গ্রামের আলকাজ উদ্দিন ও তার পুত্র সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিন গত প্রায় দু’বছর আগে তাদের পরিবারের কাছ থেকে এক শ’ টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে দু’দফায় সাত লক্ষ সতের হাজার (৭,১৭,০০০) টাকা গ্রহণ করে। বহু কষ্ট ও ধার দেনা করে ওই টাকা দেয়ার পর তাদের পরিবার সর্বশান্ত। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আদম ব্যবসায়ী আলকাজ ও তার পুত্র নাসির তার ভাইকে বিদেশে পাঠাতে টালবাহানা করে এবং সমুদয় টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে। এ ব্যপারে অভিযুক্ত পিতা ও পুত্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ২৫ মে’২০২২ তারিখ মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের দু’দিন পর তৎকালীন থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল থানার নারী ও শিশু ডেস্কে ডেকে নিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেন এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি নুরুল ইসলাম বাদল পাওনা টাকা আদায়ে কালক্ষেপন করে পিতা ও পুত্রকে তিনবার থানায় উপস্থিত করেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়। শুধু তাই নয় ওসি বাদল প্রতিপক্ষ নাসিরকে বিদেশে যেতে সহায়তা করে। ওসি বাদলের বর্তমান কর্মস্থল সাতক্ষিরার শ্যামনগর থানার কথিত সাংবাদিক সোহাগ সরদারের দ্বারা অনলাইন অগ্রযাত্রা ও ফেইসবুকে কলেজ ছাত্রীর ছবি দিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিও ছড়িয়ে ভাইরেল করে। এতে কলেজ ছাত্রীর সামাজিক ভাবে মান সম্মান ক্ষুন্ন হয় এবং এরপর লোক লজ্জার ভয়ে তার কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানায় দুটি পৃথক সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয় বলে দাবী করেন।
কলেজ ছাত্রী সালমা অফিসার ইনচার্জ বাদলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ১৪ এপ্রিল-২০২৩ তারিখ বাংলাদেশ পুলিশ, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সাতক্ষিরার শ্যামনগর থানার বর্তমান ওসি (মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করে উল্টো সালমার বিরুদ্ধে আল আমিন নামের এক সাংবাদিক পরিচয়ে তার কাছে চাঁদা দাবীর অভিযোগ আনেন। তিনি আরও বলেন- আমার কর্মকালে যারা মঠবাড়িয়ায় কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে পারেনি তারাই সালমাকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে হয়রানী করছে।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত অব্যহত আছে।
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত বড় ভাই ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান আইয়ূব মল্লিক (৬০) এর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মকর্তা ছোট ভাই সগীর মিয়া (৫৫) এর বিরুদ্ধে (বর্তমান কর্মস্থল স্পেশ্যাল প্রোটেকশন ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১ মোহাম্মদপুর ঢাকা)। আহত আইয়ূব মল্লিক দু’দিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের মৃত. মজিবর রহমান মল্লিকের ছেলে। ঘটনার পর তাৎক্ষনিক আহতের স্বজনরা ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার পর থানা পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
আহত আইয়ূব মল্লিক ও তার বোন রেবেকা, হেলেনা বেগম বলেন, বিগত ২০১১ সালে তাদের বাবা মারা যাবার পর এক ভাই ও ছয় বোনের পৈত্রিক সম্পত্তি হতে তাদের বঞ্চিত করার পায়তারা করে তাদের অপর ভাই সাতক্ষিরা, শ্যামনগর, ভোলা, মেহেরপুর থানায় কর্মরত সাবেক পুলিশ ইন্সপেক্টর ছগির মিয়া। ওয়ারিশ হতে বঞ্চিত করে জমি আত্মসাতের চেষ্টা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। অসুস্থ ভাই ও বোনেরা মিলে এর প্রতিবাদ করলেও সে কোন কর্ণপাত করেননি। সম্প্রতি ঢাকা কর্মস্থল হতে ছুটিতে এসে পুলিশ কর্মকর্তা ছগির মিয়া বৃদ্ধা মা নুরজাহান বেগমকে চিকিৎসা খরচ চালানোর অযুহাতে গত ১৭ মে বুধবার দুপুরে মায়ের সম্পত্তি গোপনে রেজিষ্ট্রী অফিসে এনে লিখে নেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাটি শোনার পর তার ছয় বোন ও এক ভাই দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত আইয়ুব মল্লিক এর প্রতিবাদ করে। এসময় পিতার বসত ঘরে বসে ছগির মিয়া বড় ভাই আইয়ুব মল্লিককে টাইলস দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
আহত আইয়ূব মল্লিকের অপর বোন রেহেনা অভিযোগ করেন, তার ভাই ছগির মিয়া স্পেশ্যাল প্রোটেকশন ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-১ মোহাম্মদপুর ঢাকায় কর্মরত আছেন। সম্প্রতি ওই ভাই ঘটনার দিন মায়ের সম্পত্তি লিখে নেয়ার উদ্দেশ্যে মাকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাড়িতে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসে। পরে আমরা জানতে পারি এ্যাম্বুলেন্সযোগে মাকে নিয়ে ডাক্তার না দেখিয়ে রেজিষ্ট্রী অফিসে জমি লিখে নিবার জন্য যাবে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে। তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত বড় ভাই আইয়ুব মল্লিক ছোট ভাইয়ের আপত্তির কারনে জমি বিক্রি করে ভারতে নিয়েও চিকিৎসা করাতে পারছে না। পুলিশ কর্মকর্তা ছগিরের অত্যাচারে তারা অতিষ্ট। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্তও মানছে না। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সগীর মল্লিক (০১৭১১-৩১০০৯৩) বড় ভাইয়ের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বড় ভাই আইয়ুব মল্লিক পরে গিয়ে আঘাত পেয়েছে দাবী করে বলেন, টাকার অভাবে অসুস্থ্য মায়ের চিকিৎসা চলছে না এজন্য মায়ের জমি বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়েই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বামী পরিত্যাক্তা হতদরিদ্র সালেহা বেগমের ঈদ করা হল না। প্রতিবেশীদের দেয়া সেমাই-চিনি রান্না করা হলেও এইচএসসি পাশ করা একমাত্র ছেলে মুরাদ (২০) মায়ের ওপর হাত তোলায় সন্তানের ওপর অভিমান করে চালের পোকা নিধনের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ঘটনাটি ঘটেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন শনিবার দুপুরে উপজেলার ৯নং সাপলেজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। নিহত সালেহা ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়- চট্টগ্রামে গার্মেন্টে কাজ করার সময় সালেহা বেগমের পরিচয় ঘটে বরিশালের আলেকান্দার বাসিন্দা আনিছুরের সাথে। এরপর সুস্পর্কের জের ধরে (আনিস প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে) তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর চট্টগ্রাম ও বরিশালে সালেহাকে নিয়ে গেলে সেখানে প্রথম স্ত্রী টের পেলে সালেহার সাথে বনিবনা না হওয়ায় বাবার বাড়িতে একমাত্র পুত্র মুরাদকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। স্বামী আনিসুর রহমান ১ম স্ত্রীকে নিয়ে বরিশালের আলেকান্দায় থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী সালেহা (৪০) ওরফে সলেমান পিতা আব্দুস সাত্তারের ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাড়িতে পুত্রকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাস করছে। কলেজ পড়–য়া ছেলে মুরাদের মূখের দিকে তাকিয়ে অন্যত্র বিয়েও করেননি।
ঈদের দিনে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি বিয়ে করা স্ত্রীর কথা অনুযায়ী মায়ের ওপর হাত তোলে মুরাদ। এতে অভিমান করে ঘরে থাকা চালের ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২৩ এপ্রিল) রাতে সালেহা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। লাশের ময়না তদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় জানাযা শেষে বাবার বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়। এসময় এলাকার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন- বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কৃষ্ণা রানী (২২) নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে। ওই গৃহবধূ নিহত হবার ৫দিন পর তার দরিদ্র পিতা নির্মল দাস রোববার (১৬ এপ্রিল) রাতে মেয়ের স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর ও দেবরসহ ৫জন ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- দীর্ঘ ৫বছর পূর্বে উপজেলার হারজি নলবুনিয়া গ্রামের মৃত ক্ষিতিষ চন্দ্র বাওয়ালীর ছেলে পরিতোষ বাওয়ালীর সাথে পাশর্^বর্তী নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের দরিদ্র নির্মল দাসের মেয়ে কৃষ্ণা রানীর ধর্মীয় বিধান মতে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই পরিতোষ ও তার মা-ভাইয়েরা যৌতুকের জন্য কৃষ্ণাকে জ¦ালা যন্ত্রনাসহ শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
হতদরিদ্র নির্মল দাস জানান- নদীর ভাঙ্গনে শেষ সম্বল বসত ভিটে নদীতে বিলীন হওয়ায় ৪ মেয়ে নিয়ে চট্টগ্রামের কলসি দিঘির পাড়ে ভাড়া বাসায় কষ্টে জীবন কাটাচ্ছেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মিষ্টি নামের ছোট মেয়ে গার্মেন্টসে চাকুরি করে অতি কষ্টে জমানো ও ধার দেনা করে ১লাখ টাকা মেয়ে জামাই পরিতোষকে যৌতুকও দেন। কিন্তু তার পরেও বিভিন্ন অযুহাতে আরও টাকা দাবী করে এবং জামাই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার মেয়েকে শারিরিক নির্যাতন করত। এক পর্যায় গত ১২ এপ্রিল বিকেলে জামাই পরিতোষ আমাকে মুঠোফোনে জানায় আমার মেয়ে কৃষ্ণা বিষপান করেছে। মোবাইলে খবর পেয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম থেকে পরের দিন ১৩ এপ্রিল সকালে মঠবাড়িয়ার নলবুনিয়া গ্রামে চলে আসি। এসে জানতে পারি আমার মেয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় হারজি নলবুনিয়া গ্রামের জামাই বাড়িতে বসে দেখি এ্যাম্বুলেন্স হতে মেয়ের লাশ নামানো হচ্ছে। এসময় জামাইয়ের কতিপয় আত্মীয় স্বজনরা একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করে। এতে আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। পরে ওই রাতে জামাই বাড়ীর লোকজন আমার পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে তাড়াহুড়া করে মেয়ের লাশ দাহ করে। পরে সুস্থ্য হয়ে মঠবাড়িয়া এসে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তিনি আরও বলেন- এ ঘটনার পর জামাই পরিতোষ, মা হাসি রানী (৫৫) বড় ভাই মনোতোষ (৩৫), ছোট ভাই কিশোর (২৫) সহ পরিবারের সবাই গা ডাকা দেয়। তিনি অভিযোগ করেন- আমার মেয়েকে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়।
এব্যপারে পরিতোষ বাওয়ালীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোটি (০১৭২৫-৭৬২৭৭৪) বন্ধ পাওয়া যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামরুজ্জামান তালুকদার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- বরিশাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যায়। শেবাচিম হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে এক দিনমজুর হতদরিদ্র কৃষকের খড়ের গাধায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই দরিদ্র কৃষক শহিদ তালুকদার প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাই ইলিয়াস তালুকদারসহ ৩জনকে আসামী করে শুক্রবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
থানা ও ভূক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানাগেছে- উপজেলার উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের শাহজাহান তালুকদারের পুত্র দিন মজুর শহিদ তালুকদারের সাথে একই বংশের আমজেদ তালুকদারের পুত্র চাচতো ভাই ইলিয়াচ ও সরোয়ার তালুকদারের ২২শতাংশ বসত ভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও বিচারাধীন। আদালতে মামলা চলাকালীন শহিদের দখলে থাকা ওই বিরোধীয় জমি দখলের জন্য বিভিন্ন রকম পায়তারা চালাতে থাকে প্রতিপক্ষ সরোয়ার ও তার ভাই ইলিয়াচ। এক পর্যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিপক্ষ ইলিয়াচ তালুকদার বাড়ির সীমানায় প্রবেশ করে জমির বেড়া ভেঙ্গে শহীদের ভোগদখলীয় সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় শহিদ (৪৫) ও তার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী সাহিদা (৪০) বাধা দিলে তাদের প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়। অতঃপর ওইদিন গভীর রাতে ইলিয়াচ ও তার দলবল খড়ের গাধায় আগুন দিলে ২শ’ শতাংশ পাকা আমনের খড় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে শহিদ অভিযোগ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত শহিদ জানান- এসময় আগুনের টের পেয়ে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে আলোতে তার পুত্র ৮ম শ্রেনীর ছাত্র মনিরুল প্রতিপক্ষ ইলিয়াচসহ তার লোকজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেন।
প্রতিপক্ষ সরোয়ার তালুকদার খড়ে আগুন দেয়ার বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ছোট ভাই ইলিয়াচ ওই জমির বেড়ার ৪/৫ টি কচা কেটেছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি প্রতিপক্ষ শহিদের বিরুদ্ধে কাগজপত্র না থাকলেও জোর পূর্বক জবর দখলের পাল্টা অভিযোগ আনেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন- এ বিষয়ে লিখিত পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।