এমপির স্বেচ্ছাচারিতায় এডিবির অর্থ ফেরতের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এডিবির উন্নয়ন খাতের ১২টি প্যাকেজের ৬০ লাখ টাকা ফেরত, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ঝাড়– মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উ্পজেলার ১১ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানগণ।
জাপার (এরশাদ) নেতা ও পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া থেকে মহাজোটের নির্বাচিত সাংসদ ও সরকারি হিসাব সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. রুস্তম আলী ফরাজির হস্তক্ষেপে ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে ওই উন্নয়ন বরাদ্দ ফেরত যাওয়ার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় ঝাড়– প্রদর্শণ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে শহীদ মিনার চত্বর ও উপজেলা পষিদ সম্মূখে দুই দফা প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রবীন আ’লীগ নেতা ফজলুল হক রাহাতের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত, গুলিসাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো, টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মুর্তজা প্রমূখ। শেষে রাতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা এডিবির অর্থ বহাল না রাখলে এমপির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ এমপির মেঝ ভাই ৮নং আমড়াগাছিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল ফরাজীসহ অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১ ইউনিয়নের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১২টি প্যাকেজে এলাকার রাস্তার ইট সলিং, ঘাটলা ও মসজিদের ছাদ নির্মানসহ ৫০ বিভিন্ন উন্নয়নে এডিবি প্রকল্প হতে গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্ধ পত্র পাওয়ার পর এমপি ডাঃ ফরাজীর হুমকির কারণে উপজেলা প্রকৌশলী উপজেলা পরিষদের সভায় যথা সময় উপস্থাপন করেননি। এছাড়া মঠবাড়িয়ায় উপজেলায় দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকায় এমপি ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজীর ভয়ে এডিবি বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও কোন উদ্যোগ গ্রহন করেননি। আরও বলা হয় বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে (এডিপি) বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও আবারও সংসদ সদস্যের হুমকিতে ইউএনওর পরামর্শে উপজেলা প্রকৌশলী (এডিবি) বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটায়। তাছাড়াও টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই সংসদ সদস্য ডাঃ ফরাজী বিভিন্ন মহলে টেন্ডারে অভিযোগ তুলে যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন- এমপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাকে হুমকি, চাপ সৃষ্টি করে উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর ও অবৈধ হস্তক্ষেপের কারনে সকল ঠিকাদারদের বিল স্থগিতসহ উন্নয়নের বরাদ্ধকৃত টাকা ফেরত যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজির মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।