ব্রিজ না থাকায় চার উপজেলার দশ লক্ষ মানুষের দুর্ভোগ চরমে
শাকিল আহমেদঃ পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া সড়কের মাদার্শী নামক স্থানের বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বামনা ও ভান্ডারিয়া উপজেলার একাংশের প্রায় দশ লক্ষ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ থেকে ২০ ফুট দূরে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি কাঠের পুল নির্মাণ করলেও তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। গত ১২ আগষ্ট গভীর রাতে মঠবাড়িয়াগামী দু’টি পাথরবোঝাই ট্রাক (পটুয়াখালী ট-১১-০০৬৫ ও পিরোজপুর ট-১১-০২১১) মাদার্শী সেতু পার হওয়ার সময় প্রায় ২’শ ফুট লম্বা বেইলী ব্রিজটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। যার ফলে খুলনা, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঢাকাসহ অন্তত ১২টি রুটে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এদিকে সেতু ভেঙ্গে খালে পড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হতে সারা দেশে মাছ সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানাগেছ, চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা ৫০ কিলোমিটার সড়কে ১৯৮৮ সালের দিকে ২০টি বেইলী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজগুলোর স্থায়িত্ব ১০ বছর হলেও সেগুলো প্রায় তিন গুণ সময় অতিক্রম করেছে। যা বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজগুলোর ধারণক্ষমতা ১০ টনের অধিক না হলেও প্রতিনিয়ত ১৫ থেকে ২০ টনের অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দিন দিন ব্রিজগুলো আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাতের বেলা একাধিক ট্রাক একসাথে অতিক্রম করার সময় ব্রিজগুলো ধ্বসে পড়ছে। গত বছর জুন মাসে একই সড়কের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুদিঘাটা নামক স্থানে দুইটি পাথর বোঝাই ট্রাক একসাথে ওঠার ফলে ব্রিজটি ধ্বসে পড়ে যা আজও পুনঃনির্মাণ করা হয়নি।
এব্যাপারে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মঠবাড়িয়া-পিরোজপুর সড়কের মাদার্শী নামক স্থানের ধ্বসে পড়া বেইলী সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য ব্রিজটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।