হত্যার চেষ্টা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি ॥ থানায় জিডি

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলার বাদী গৃহবধুকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছে আসামীরা। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে (০৪/১০/২০২১) মামলার বাদী আহত মধু মিয়ার স্ত্রী গৃহবধূ রাশেদা বেগম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়- উপজেলার লক্ষনা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র দরিদ্র ট্রাকটর চালক লিটন মিয়া চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় দক্ষিন গুলিশাখালী গ্রামের কামাল হাওলাদারের পুত্র প্রবাসী রাসেলের ৪ একর জমি চাষ করে। এ জমি চাষের ১০ হাজার টাকা দিতে রাসেল দীর্ঘদিন ধরে টাল বাহানা করতে থাকে। এক পর্যায় গত ২১ সেপ্টেম্বর-২০২১ দুপুরে দরিদ্র লিটন মিয়া জমি চাষের বকেয়া টাকা চাইতে গেলে দুই পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় রাসেল, তার ছোট ভাই সোহেল ও বাবা কামাল হাওলাদার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালালে ট্রাকটর চালক লিটন (৪০), বড় ভাই মধূ হাওলাদার (৫০), স্ত্রী শান্তা (৩০) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এর মধ্যে গুরুতর জখম লিটনের অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন তাকে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেণ। এ ঘটনায় আহত মধু মিয়ার স্ত্রী মোসা: রাশেদা ঘটনার তিনদিন পর (২৪/০৯/২০২১) বেগম বাদী হয়ে রাসেল (৩৩), ভাই সোহেল (২৫)ও তার পিতা কামাল (৫৬) সহ পাঁচজন এজাহার নামীয় ও ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জিডিতে রাশেদা বেগম আরো অভিযোগ করেন, আমার স্বামী, দেবর ও জাঁকে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করলে আসামী রাসেল ও তার প্রভাবশালী পিতা কামাল হাওলাদারসহ অন্যরা মামলা তুলে নিতে পথে ঘাটে প্রায়ই হুমকি দিয়ে আসছিলো। এক পর্যায় সোমবার বিকেলে স্থানীয় দক্ষিন গুলিশাখালী গ্রামের সরকারী রাস্তার ওপর দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ রাসেল ও তার দলবল আমাকে মামলা তুলে না নিলে পুনরায় হামলা.খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দেয়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে। বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





