স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু ॥ পাষন্ড স্বামী গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুক লোভীর স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ সেই গৃহবধূ দীর্ঘ ২০দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রহিমা বেগম (৩০) মারা গেছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা গেছে বলে তার ভাই নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের ভাই মো. হাসান শেখ জানান, গত ৬ বছর আগে মঠবাড়িয়া উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের মৃত শামসুল আলমের ছেলে ইমাম হোসেনের সাথে তার বোন রহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভগ্নিপতি (নিহতের স্বামী) ইমাম হোসেন প্রায়ই তাকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। গত ১১ জুন রাতে আবারও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেয়। এ সময় রহিমা টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় ইমাম তার বোনের পড়নে থাকা শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ওই রাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য- রহিমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনার পরের দিন গত ১২ জুন তার ভাই হাসান শেখ বাদী হয়ে ভগ্নিপতি ইমাম হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। ইমাম হোসেন পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার আলমগীর হেসেনের মেয়ে রহিমা বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে ছিল।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান জানান, আগেই নিহতের স্বামী ইমাম হোসেনকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Comments
আরও পড়ুন





