স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের মামলার বাদীকে হুমকি ॥ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় জিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী (১৬) কে গণধর্ষণের মামলা করে বিপাকে পরেছে ধর্ষিতার পরিবার। মামলা তুলে নিতে অব্যাহত খুন, জখম ও এসিড মারার হুমকির মুখে ওই ছাত্রীর হতদরিদ্র পিতা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রোববার (৫ মে) মঠবাড়িয়া থানায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও আসামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছে।
জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের এক হত দরিদ্রের মেয়ে এবং মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে এলাকার স্থানীয় বখাটে সাইফুল (২৫), নাজমুল (১৯), শাওন (১৯) এবং ইসমাইল (২০) গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষণের অশ্লীল চিত্র মোবাইলে ভিডিও করে। পরে ওই ছাত্রীকে ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আবার ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১মার্চ‘১৯ চার জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পুলিশ এ মামলার আসামী ইউনিয়ন তাঁতীলীগ সভাপতি ইসমাইল জোমাদ্দারকে গ্রেফতার করলেও অন্য তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে গ্রেফতারকৃত ইসমাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
অপরদিকে, এ মামলা তুলে নিতে মিরুখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লাভলু তালুকদার, মামলার আসামী নাজমুল, শাওন ও হাজতে থাকা ইসমাইলের পিতা এমাদুল বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখায় এবং ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে অশ্লীল ভাষায় গালমন্ধ ও অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে। এমনকি মামলা প্রত্যাহার না করলে খুন জখমের হুমকি দেয়।
ওই ছাত্রীর মা ও মামলার বাদি সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন গ্রেফতারকৃত ইসমাইলের বাবা এমাদুল খলিফা ও আসমি নাজমুল মামলা তুলে না নিলে তাকে এসিড মারার হুমকি দেন। এ ব্যপারে যুবলীগ নেতা লাভলু তালুকদারকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দল্লাহ জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Comments
আরও পড়ুন





