সুন্দর বনের বগী ষ্টেশন এলাকায় কাঠ পাঁচার বৃদ্ধি

নজরুল ইসলাম, শরনখোলা থেকে ঃ পূর্ব সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের বগী ষ্টেশন এলাকায় সুন্দরী কাঠ পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসে অন্তত তিনটি গাছের চালান পাচারকালে আটক করা হয়েছে। গাছ পাচারে চোরা কারবারীদের সাথে বগী ষ্টেশনে কর্মরত এক নৌকা চালক (রায়েন্দা ইউনিয়নে বাড়ি) জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সুন্দরবন সুরক্ষা বিষয়ক স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি) সূত্র জানায়, তাদের দেয়া তথ্য মতে গত ২২ ফেব্রুয়ারী বন সংলগ্ন তাফালবাড়ি লঞ্চঘাট এলাকার খাল থেকে ৯ পিস সুন্দরী গাছ আটক করে বন বিভাগ। গত ৯ ফেব্রুয়ারী সিপিজির সহায়তায় বনের মরাবগী এলাকা থেকে ১১ পিস সুন্দরী গাছ আটক করা হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারী সিপিজির সহায়তায় বগী ষ্টেশন সংলগ্ন বলেশ্বর নদী থেকে পাচার কালে ২৮ পিস সুন্দরী গাছ আটক করে বন বিভাগ। যা বগী ষ্টেশন অফিসে এনে জমা করা হয়।
এছাড়াও গত ৩ নভেম্বর বনের ডুমুরিয়া এলাকা থেকে ৪ পিস সুন্দরী গাছ উদ্ধার করে বন বিভাগ। একই এলাকা থেকে মাস তিনেক আগে ৫০ পিস মেহগিনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সংবাদ পান তারা। উদ্ধারকৃত কাঠ বগী ষ্টেশন অফিসে জমা রয়েছে। কাঠ পাচারকালে চোরাকারবারীদের আটক করা সম্ভব হয়নি তবে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় (পিওআর) মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বগী ষ্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান। শরনখোলা কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির (সিপিজি) তেরাবেকা গ্রুপ প্রধান সরোয়ার তালুদ্দার জানান, প্রতিটা কাঠ পাচারের ঘটনা আমরা জানতে পেরে বনবিভাগকে অবহিত করি পরে তারা তা উদ্ধার করেন। শরনখোলা কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহ-সভাপতি ওয়াদুদ আকন জানান, বগী এলাকা থেকে মাঝে মাঝে গাছ পাচারের কথা শোনা যায়। সাউথখালীতে কয়েকজন চোরা কারবারীর নাম জানতে পেরেছি।
জানতে চাইলে শরনখোলা রেঞ্জকর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, গত মাসে দুটি গাছ পাচারের ঘটনা আমার জানা আছে। সাউথখালীর হেমায়ত মোল্লা নামের এক গাছ চোরের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। গাছ পাচারের বিষয় বগী ষ্টেশন কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তিতে যাতে গাছ পাচার না হয় সে ব্যপারে আমরা সজাগ রয়েছি।
Comments
আরও পড়ুন





