সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মিঠাপানির চাহিদা মিটাতে খনন করা হচ্ছে ৮৮ টি পুকুর

বিশেষ প্রতিনিধি, শরণখোলা: সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর দীর্ঘদিনের সুপেয় মিঠা পানির চাহিদা মেটাতে অবশেষে খনন ও পুন:খনন করা হচ্ছে ৮৮টি পুকুর। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত এই লবণাক্ত বনভূমিতে একই সাথে ৭০টি পুকুরে নির্মান করা হবে পাকা ঘাট। ফলে বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি সুন্দরবনে থাকা বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বনজীবী ও পর্যটকদেরও মিঠা পানির চাহিদা মেটাবে। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়ানে এসব পুকুর খনন ও পুন:খননে ব্যায় হচ্ছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী হরিণসহ বন্যপ্রাণীর আধিক্য রয়েছে এমন এলাকাগুলোতে এসব পুকুর খনন ও পুন:খননের কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে বন বিভাগ জানায়।
বন, পরিবেশ ও জয়লবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদার গত ২৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরে আনুষ্ঠানিক ভাবে খনন ও পুন:খনন কাজের উদ্ধোধন করেন। এসময়ে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. মইন উদ্দিন খান ও পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব সুন্দবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের মধ্যে থাকা পুকুরগুলো ঝড়-জলোচ্ছাসে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণীগুলো সুপেয় পানি সংকটের মধ্যে ছিল। পুকুরগুলো খনন করা হলে বনকর্মী, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী হরিণসহ ৩শ ৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাবে। এজন্য সুন্দরবনে ৮৮টি পুকুর খনন-পুন:খনন এবং ৩০টি পুকুরের পাকা ঘাট নির্মান করা হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে এসব পুকুরের খননের কাজ শেষ হবে।
সুন্দরবনের মধ্যে থাকা পুকুরগুলো ঝড়-জলোচ্ছাসে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণীগুলো সুপেয় পানি সংকটের মধ্যে ছিল। এই অবস্থায় বন বিভাগ সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী হরিণসহ ৩শ ৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে অবশেষে খনন ও পুন:খনন করা হচ্ছে এসব পুকুর।
এসব পুকুরের মধ্যে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে শরণখোলা রেঞ্জের দুবলায় ২টি ও বগীতে নতুন করে ৩টি পুকুর খনন করা হচ্ছে। এই রেঞ্জের ২৪টি পুকুর পূন:খননের মধ্যে কচিখালী অভয়ারণ্যে ৪টি, কটকা অভয়ারণ্যে ৪টি, দুবলায় এলাকায় ৩টি, শরণখোলা রেঞ্জ সদরে ২টি, দাশের ভারানীতে ২টি। এছাড়া একটি করে পুকুর পূন:খনন করা হচ্ছে ডুমুরিয়া, চরখালী, তেরাবেকা, চান্দেশ^র, শাপলা, ভোলা, শেলারচর, কোকিলমুনি ও সুপতি। চাঁপাই রেঞ্জে পুকুর পূন:খনন করা হচ্ছে ২৬টি পুকুরের মধ্যে রয়েছে ধানসাগরে ৩টি, গুলিশাখালীতে ২টি, আমুরবুনিয়ায় ২টি। একটি করে পুকুর পূন:খনন করা হচ্ছে চাঁদপাই, ঢাংমারী, লাউডোপ, জোংড়া, ঘাগড়ামারী, নাংলী, হরিণটানা, কলমতেজী, তাম্বুলবুনিয়া, জিউধরা, বরইতলা, কাটাখালী, শুয়ারমারা, মরাপশুর, বৈদ্যমারী, আন্ধারমানিক, হারবাড়িয়া, নন্দবালা ও চরাপুটিয়া।
Comments
আরও পড়ুন





