সমবায় ব্যাংকের জমিতে বসবাসকারী ৫৫টি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা!

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের লীজ দেয়া জমিতে বসবাসকৃত ৫৫টি পরিবারকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো। গত রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে শহরের শেরে বাংলা পাঠাগার সংলগ্ন ভুক্তভোগী তানিয়া আক্তারের বসত ঘরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে লীজ গ্রহিতা তানিয়া আক্তার বলেন, বিগত ২০০২ সালে তৎকালীন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫৫টি পরিবারের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা গ্রহণ করে শেরে বাংলা পাঠাগার সংলগ্ন সমবায় ব্যাংকের পতিত জলাবদ্ধ নিচু খোলা জমি বসত ভিটির জন্য লীজ দেয়। তখন কর্তৃপক্ষ ওই পরিবারগুলোর কাছ থেকে নির্ধারিত মাসিক মাটি ভাড়া নিয়ে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাসের অনুমতি দেয়। এরপর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো নিজস্ব অর্থায়নে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা ব্যয় করে আধাপাকা বসত ঘর নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বর্তমান ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের নবায়নের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় নবায়ন করছে না। বক্তব্যে আরও বলেন বর্তমান সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজীম-উল-হক চুক্তি নবায়নে অপরগতা প্রকাশ করেন এবং উচ্ছেদের হুমকি দেয় এবং ওই জমি দখলে রাখতে হলে পুনরায় ৫ লাখ টাকা করে দাবী করেন। সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় গত ১লা নভেম্বর বসতঘরগুলোর বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে ওই জমিতে বসবাসকারী পরিবারের সন্তানেরা চলামান জেএসসি, জেডিসি ও প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ বিহীন চরম ভোগান্তিতে পড়ে। ঋণ, ধার দেনা করে উত্তোলন করা ঘর থেকে উচ্ছেদ করলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সর্বশান্ত হয়ে পথে বসবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
এব্যাপারে সমবায় ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজিম-উল-হক বলেন, ওই পরিবারগুলোর কাছে তিন বছরের জন্য অস্থায়ী ভাবে মাটি ভাড়া দেয়া হয়েছিল। মাটি ভাড়া নিয়ে অবৈধ ভাবে বসত ঘর তৈরী করে বসবাস শুরু করে। বহু আগেই মেয়াদ শেষ হলেও বার বার নোটিশ করা সত্ত্বেও নোটিশ গ্রহণ না করে অবৈধ দখল ছাড়ছেনা। যে কারণে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বার্ষিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নেয়ায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার দুর্ণাম ছড়াচ্ছে।
Comments
আরও পড়ুন





