শিক্ষিকা কর্তৃক ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে মারধরে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ায় শিক্ষিকা কর্তৃক ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে মারধর করায় গুরুতর আহত ৫ম শ্রণীর শিক্ষার্থী তাইবা মনি ঐশী (১০) চলতি মডেল টেষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্কুল ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার কাশ চলাকালীন সময়ে পানি পানের অপরাধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নমিতা রানী ৫ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী তাইবা মনি ঐশী (১০) কে চুলের মুঠি ধরে ওয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করে। এতে ওই স্কুল ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ তুষখালী বান্দাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অহত ঐশী মঠবাড়িয়া পৌর শহরের আরামবাগ এলাকার আবুল হোসেন ও ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রওশনারা বেগমের মেয়ে।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ঐশীর মা রওশনারা বেগম জানান, ঐশীর একটি কিডনি নষ্ট হওয়ায় দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ক্লাস করেন। ঘটনার দিন পানির পিপাসা লাগায় লাইব্রেরীতে পানি পান করতে যান। এসময় ওই শিক্ষিকা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে তাকে চুলের মুঠি ধরে ওয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করে। এ বিষয়ে ওই শিক্ষিকাকে অভিযুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারের বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগ সম্পর্কে শিক্ষিকা নমিতা রানী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন।
ওই কাষ্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইউনুচ আলী হাওলাদার জানান, অভিযুক্ত নমিতা রানী ছাত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করলেও ওরকম গুরুতর তাকে মারা হয়নি বলে জানান। উক্ত শিকিকার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অনেক মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েই ওই স্কুল সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। ওই ছাত্রীর সাথে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Comments
আরও পড়ুন





