শিক্ষক কর্তৃক স্কুল ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত ॥ হাসপাতালে ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশনের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল মিমি (১৫) কে কাশে বেধরক মারধর করে আহত করছে শ্রেণী শিক্ষক উষা রানী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ২য় প্রিয়ার্ড চলাকালে শিক্ষার্থীর ওপর মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত মিমিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মিমি উপজেলার সবুজনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলম শরীফের কন্যা।
আহত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার কাশ চলাকালীন সময়ে সহপাঠী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পানি পান করতে যায়। পানি পান শেষে শ্রেণীকক্ষে ঢোকার সাথে সাথে শিক্ষক কালো কুৎসিত বলে অশালীন গালমন্দ করে। এর প্রতিবাদ করলে মাথা নিচু করে ডাষ্টার দিয়ে এলোপাতারি পিটালে সে আহত হয়। ওই শিক্ষার্থীর মামা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদল অভিযোগ করেন, আমার ভাগ্নিকে অশ্লীল কথা বলে ছাত্রীদের উপস্থিতিতে বেধরক মারধর করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দ্বা জানাই ও বিচার চাই। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিষয়টি আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে রূঢ় আচরণ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক উষা রানী তার বিরুদ্ধে আনীত মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাশ চলাকালীন সময় ওই ছাত্রী তাকে না বলে বাহিরে যায় এবং ভালপড়াশুনা করে তাকে মানুষ হওয়ার উপদেশ দেই। তিনি আরও বলেন, আমি কাশে ডাষ্টার নেইনি। কিভাবে আমি ডাষ্টার দিয়ে পিটাব।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, ছাত্রী মারধরের বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রীর আহতের সূত্র ধরে তার মামা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে খারাপ আচরণ করেছে যেটা দু:খজনক। সব বিষয়েই ওই সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





