শরণখোলা নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত ৩২, দুই মামলায় ৬৫ জন আসামী ॥ সহিংসতারোধে পুলিশের সভা আহবান

বিশেষ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলায় সোমবার (২২মার্চ) রাতে ফের নির্বাচনী সহিংসতায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ১নম্বর সোনাতলা ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাতলা গ্রামের মেম্বর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ডালিম ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ডালিমের সমর্থক মজিবর হাওলাদার (৬০) তার দুই ছেলে হেলাল (৩৪) ও কাওসার (২৫) এবং প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীরের সমর্থক ইউসুফ আলী হাওলাদার (৫৮)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ডালিমের সমর্থক তিন জনকে ওই রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (১৯ মার্চ) ওই দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৮জন নারী-পুরুষ আহত হন। এই ঘটনার জেরে ওইদিন রাতে দুটি দোকানে অগ্নি সংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় ৬৫ জনকে আসামী করে শনিবার শরণখোলা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। এনিয়ে পৃথক তিনটি সহিংস ঘটনায় ৩২জন আহত হন। এদিকে, নির্বাচনী সহিংসতারোধে বুধবার বিকেলে সাউথখালীর মডেল বাজারে আইন শৃঙ্খলা সভার আহবান করেছে পুলিশ।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মেম্বর প্রার্থী জাঙ্গীরের সমর্থক ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ওইদিন রাতে তাফালবাড়ি বাজার থেকে বাড়ির কাছাকাছি গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৮-৯জন লোক ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় কোপ দিলে আমি তাদের হাত থেকে দা ছিনিয়ে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছি। এর পর কী ঘটেছে তা বলতে পারছি না।
মেম্বর প্রার্থী শফিুকল ইসলাম ডালিম বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকেরা আমার তিন সমর্থককে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। রাতে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা বর্তমানে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে ও এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বুধবার বিকেলে সোনাতলা মডেল বাজারে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সভা আহবান করা হয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





