শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যানের ইন্তেকাল ॥ জানাযায় হাজারো শোকার্ত জনতার ঢল
স্টাফ রিপোর্টার: শরণখোলা উপজেলার বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান একাধিকবার উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো: কামাল উদ্দিন আকন আর নেই। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে খুলনায় ফরটিকস্ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি …… রাজিউন)।
এর আগে বুধবার দিনগত গভীর রাতে তিনি শরণখোলা উপজেলা পরিষদের বাসভবনে স্ট্রোক জণিত কারনে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক ওই রাতেই খুলনায় প্রেরণ করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬টায় কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তিনি পিতা আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আকন, স্ত্রী, তিন ছেলে রায়হান উদ্দিন শান্ত, পান্থ, ইমরান হোসেন শুভ, মেয়ে সুরভী আকতারসহ বহু আত্মীয় স্বজন ও অসংখ্য দলীয় নেতা কর্মী রেখে গেছেন। জনপ্রিয় এ নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শরখোলা, মোড়লগঞ্জ, মঠবাড়িয়াসহ সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমের লাশ আছর নামাজবাদ রায়েন্দা বড় মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের জানাযায় স্থানীয় সাংসদ, উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ এ অঞ্চলের কয়েক হাজার শোকার্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
বর্ণাঢ্যময় রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী কামাল উদ্দিন আকন প্রথম জীবনে রায়েন্দা সদরের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। পরে জনগণের ভোটে দুইবার রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ও তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি একাধিকবার সফলতার সাথে উপজেলা আ’লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর পূর্বে তার পিতা আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আকন ছিলেন শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত মনিরুজ্জামান বাদল হলেন তার ছোট ভাই ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ হলেন তার জামাতা।
সর্বশেষ গত ১০ দিন পূর্বে ২৫ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Comments
আরও পড়ুন





