রাঙামাটিতে ব্রাশ ফায়ারে নিহত সজিবের লাশ মঠবাড়িয়ায় দাফন ॥ এলাকায় শোক

স্টাফ রিপোর্টার : রাঙামাটির নানিয়ারচরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে হামলায় নিহত পাঁচ জনের মধ্যে এক জনের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত মাইক্রোবাসের চালক সজিবের (৩২) লাশ শনিবার (৫ মে) দুপুরে উপজেলার গুলিশাখালীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে দুপুরে নিহত সজিবের বহনকৃত এ্যাম্বুলেন্সটি তার গ্রামের বাড়িতে পৌছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে শেষ বারের মত দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় জমায়। পরে নামাজে জানাযায় এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষ অংশ গ্রহন করে।
মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমীন (বিপিএম) লাশ দাফনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাতে উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নে নিহতের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, সজিবের বৃদ্ধ বাবা কৃষক বজলুর রহমান কনিষ্ঠ ছেলের মৃত্যুর খবর শুনেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। যাকে দেখে তার দিকেই ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। ব্রেন ষ্ট্রোকের রুগি মা হাসিনা বেগমের ছেলের লাশ দেখে দু’চোখ বেয়ে শুধু অশ্রু ঝড়ছে। স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৪) স্বামীর ছবি নিয়ে বিলোপ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছে। পারিবারিক ভাবে জানা যায়, গত ২ বছর আগে সজিব সেনাবাহিনীতে কর্মরত মামাত ভাইদের কাছ থেকে ধার ও ব্যাংকের লোন নিয়ে ১৫ লক্ষ টাকায় মাইক্রোবাস কিনে খাগড়াছড়ির পানছড়ি মুসলিম পাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র সন্তান সিহাব (৬) কে নিয়ে থাকতেন। গত শুক্রবার (৪ মে) সকাল ৭ টার সময় তপনজ্যোতি চাকমা ওরফে বরমাসহ ৫ জনকে নিয়ে পানছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে ওঁৎ পেতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়।
নিহত সজিব চার ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয়। তার পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে। ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
Comments
আরও পড়ুন





