যৌতুকের দাবীতে দুগ্ধজাত শিশুকে রেখে স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয় পাষন্ড স্বামী

দিলীপ মজুমদার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবীকৃত টাকা না পেয়ে গৃহবধু লিমা (২০) কে মারধর করে সাত মাসের দুগ্ধজাত কন্যা সন্তান রাবেয়াকে রেখে ঘর থেকে বের করে দেয় পাষন্ড স্বামী শহিদুল। এ ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ঘটনার ৯দিন পর ওই শিশুটি উদ্ধার করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালত শিশুটিকে মায়ের জিম্মায় দিয়ে আগামী ২৭/১২/২০১৭ তারিখ আদালতে শিশুসহ হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। ঘটনাটি এলাকায় দারুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রশিদের মেয়ে লীমা বেগমের সাথে উপজেলার বকশির ঘটিচোরা গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে মো. শহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। লিমার পরিবার বিয়ের সময় নগদ টাকাসহ প্রায় লাখ টাকার মালামাল প্রদান করে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শহিদুল ব্যবসার নাম করে আরও একলাখ টাকা যৌতুক দাবী করে স্ত্রী লিমার কাছে। দরিদ্র পিতার পে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে স্ত্রী জানালে শহিদুল স্ত্রীর ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
দাবীকৃত টাকা বাপের বাড়ি হতে আনার জন্য শহিদুল স্ত্রী লিমার ওপর গত ৩০ অক্টোবর চাপ সৃষ্টি করে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায় স্ত্রীকে মারধর করে। এরপর দুগ্ধপোষ্য শিশু কন্যাকে আটকে রেখে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় লিমাকে। পরে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য বহু চেষ্টা চালিয়ে লীমা ব্যর্থ হন।
আদালতে যৌতুকের বিষয়টি জানিয়ে ও শিশু সন্তানটি দাবী করে শিশুটির মা লিমা বাদী হয়ে স্বামী শহিদুল ও শ্বশুর নয়া মিয়াকে আসামী করে গত ৭ নভেম্বর মঠবাড়িয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক জিএম সরফরাজ থানা পুলিশকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
মঠবাড়িয়া থানার সাব-ইন্সেপেক্টর শাহানাজ বেগম জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে বকসির ঘটিচোরা গ্রামের শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে তার অনুপস্থিতিতে শিশুটির দাদী সাহানা বেগম (৫০) এর কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নির্বাহী আদালতে সোপর্দ করা হয়।
Comments
আরও পড়ুন





