মিরুখালীতে ঘুষ গ্রহণ ও জেলা প্রশাসকের স্বার জাল করার অপরাধে ১ মাসের কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ার মিরুখালী বাজারের পেরিফেরিভুক্ত সরকারী খাস জমিতে অবৈধ ভাবে পাকা ভবন উত্তোলনে উৎকোচ গ্রহণ ও পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করার ঘটনায় নুরুল ইসলাম (৪৬) নামের একজনকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জি.এম সরফরাজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তার কার্যালয়ে পুলিশ আটক নুরুল ইসলামকে হাজির করলে অবৈধভাবে উৎকোচ গ্রহণ ও স্বাক্ষর জাল করার দায় স্বীকার করায় দন্ডবিধির ১৭১ এর (ঙ) ধারায় এ দন্ড প্রদান করেন।
গত বুধবার উপজেলার মিরুখালী বাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের সোয়া তিন শতাংশ জমিতে অবৈধভাবে দোকান ঘরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করে। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, মিরুখালী ইউনিয়নের জে,এল ২৬ নং নাপিতখালী মৌজার সরকারী খাস এস,এ ৭৩ নং খতিয়ানের ১১৮৪, ১১৮৬, ১১৮৭ নং দাগের সোয়া তিন শতাংশ জমিতে গোপনে গত কয়েকদিন ধরে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। বুধবার ওই জমিতে ছাদ ঢালাইয়ের সময় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায়। এসময় ওয়াহেদাবাদ গ্রামের আবদুল খালেকের পুত্র ইসমাইল জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন এর ভুয়া স্বার সম্বলিত আবেদন পত্র দেখায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে বুধবার রাতে মিরুখালী গ্রামের ধলু মল্লিকের পুত্র নুরুল ইসলামকে আটক করে।
এ ব্যাপারে দোকান ঘরের মালিক ইসমাইলের পিতা আবদুল খালেক জানান, ওই জমি ক্রয়সূত্রে মালিক দাবী করে বাজারের জমি বিধায় জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেয়ার জন্য নুরুল ইসলামের মাধ্যমে দরখাস্ত দাখিল করি। ঘর উত্তোলনের জন্য তিনি আমাদের জেলা প্রশাসকের অনুমতি এনে দেয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাস জানান, ওই জমি মিরুখালী বাজারের পেরিফেরিভুক্ত এবং সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত। এমন জমিতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে শুধু আধাপাকা স্থাপনা নির্মান করা যায়। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় ওই জমিতে যদি পাকা ঘর উত্তোলনের অনুমতি দিতেন তাহলে তিনি আমাকে লিখিতভাবে বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করতেন। তিনি বলেন, শীঘ্রই এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





