মামলা প্রত্যাহার ও ওসিকে অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ায় আন্ত:স্কুল-মাদ্রাসা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালে মারধরের ঘটনায় শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীকে আসামি করায় ফুঁসে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মামলা প্রত্যাহার ও মঠবাড়িয়া থানার ওসির অপসারণ দাবি করেছে সাপলেজা ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সহা¯্রাধিক শিক্ষার্থীরা ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূর থেকে উপজেলা সদরে এসে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাশেদ হাওলাদার, জি.কে. ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর হোসাইন মোল্লা, এন.সি তমেজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, বিবিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান ও সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা সাপলেজা মডেল স্কুলের ক্রিড়া শিক্ষক ও ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও ওসি গোলাম ছরোয়ারের অপসারণ দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে টুর্ণামেন্ট কমিটির সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের উপস্থিতিত্বে সাপলেজা মডেল স্কুল বনাম গুলিশাখালী জি.কে. ইউনিয়ন মাধমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলা চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী খেলোয়ার আহত হয়।
এ ঘটনায় জি.কে. ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে ওই দিন সাপলেজা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক জামাল হোসেন এবং ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল আমীনসহ এজাহার নামীয় ১১জন ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গত সোমবার গুলিসাখালীর ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক। কয়েক শিক্ষার্থী জখমের ঘটনায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির বলেন, মামলার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Comments
আরও পড়ুন





