মঠবাড়িয়ায় ১’শ বিএনপির নেতা-কর্মীর নামে মামলা, পৌর কাউন্সিলরসহ ৯ বিএনপি নেতা জেলহাজতে
স্টাফ রিপোর্টার : পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) একক আসনে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলা বিএনপির ১’শ নেতা কর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক আব্দুর রহমান বাদি হয়ে পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে. এম হুমায়ূন কবীর, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান কামাল মুন্সী ও পৌর কাউন্সিলর সরোয়ার হোসেন ছগীরসহ ৪০জন নামীয় ও ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত বিএনপি নেতা কর্মীকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামালায় আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। এর আগে রবিবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে পৌর কাউন্সিলরসহ বিএনপির ৯ নেতা কর্মীকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খোকন. আ ম মাহবুবুল ইসলাম আকন, পৌর কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সরোয়ার হোসেন সগীর, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ জাকির হোসেন মল্লিক, বড়মাছুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, ফারুক খান, আব্বাস খান ও লিটন শরীফ।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বিএনপি-জামাতের নেতা কর্মীরা দুর্নীতির দায়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে নাশকতার জন্য স্থানীয় টিকিকাটা ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া পাথরঘাটা সড়ক কেটে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রুহুল আমীন দুলাল সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে এসে ধানের শীষ এর বিজয় ঠেকাতেই নেতা কর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে এ গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত আনোয়ার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আসন্ন নির্বাচনে নাশকতা ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষে পরিকল্পনা চালাচ্ছিল। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





