মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে জখম ॥ গ্রেফতার-২জন
স্টাফ রিপোর্টার : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় হাফেজ আলমগীর হোসেন আব্দুল্লাহ (৩৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত ২০ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম মিরুখালী মদিনাতুল উলুম নূরাণী মাদ্রাসার সম্মূখ সড়কে প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাইয়েরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যায় তাকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহত মাদ্রাসা শিক্ষক আলমগীর পশ্চিম মিরুখালী গ্রামের আবু সালেহ হাওলাদারের ছেলে এবং স্থানীয় মদিনাতুল উলুম নূরাণী মাদ্রাসার শিক্ষক।
এঘটনায় আলমগীরের পিতা আবু সালেহ বাদী হয়ে ভাতিজা জিয়াকে প্রধান করে ১৪ জনকে আসামী করে শুক্রবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, ওই গ্রামের আবু ছালেহ এর পুত্র আলমগীরের সাথে আপন চাচাত ভাই মৃত করিম হাওলাদারের পুত্র দেলোয়ারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেলে প্রতিপক্ষ দেলোয়ারের পুত্র জিয়া হাওলাদার ও তার দলবল মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাফেজ আলমগীর হোসেনকে মাদ্রাসার সামনে থেকে ধরে নিয়ে সড়কের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে সড়কের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ দেলোয়ারের স্ত্রী রেনু বেগম (৪০) ও মেয়ে অনু আক্তার (১৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





