মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় তান্ডবে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার : উপকূলীয় মঠবাড়িয়ায় শুক্রবার (৩ মে) রাতে ফণীর প্রভাবে ঝড়, জোয়ার ও বৃষ্টিতে উপজেলায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বলেশ্বর নদ তীরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি বাধ দিয়ে জলোচ্ছাসের অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করায় মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষরা এখনও আতঙ্কিত রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ৭ শ ৯১টি পরিবার সম্পূর্ণ ও ৪ হাজার ৭শ ৩২জন লোক ঝড়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ছাড়া ঝড়ে ২শ ৩০ একর জমির ফসল ও ৫ শ ৭২ একর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঝড়ে ২শ ৪৫টি কাচা ঘর ও ৪ শ ৩৭ টি আংশিক কাচা ঘরসহ ২.৬ কিলোমিটার বেড়ি বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরকারী ভাবে এ ঝড়ে মোট ক্ষতির পরিমান ৩৪ লাখ ৫হাজার টাকা দেখানো হলেও বেসরকারী ভাবে এ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকার।
শনিবার দুপরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর তীরের মানুষ আতঙ্কিত। স্থানীয়রা জানান- শুক্রবার রাতে প্রবল বেগের ঝড়, বৃষ্টির অতিরিক্ত পানিতে ২/৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার না করায় হু হু করে লোকালয়ে পানি ডুকে পড়েছে। ফলে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কে প্রহর গুনছে। এছাড়া নদী তীরবর্তী খেতাছিড়া, কচুবাড়িয়া জেলে পল্লীর অন্তত ৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। বলেশ্বর নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে খেতাছিড়া ও কচুবাড়িয়া এলাকার বেড়ি বাধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে।
এতে এসব এলাকার মূগডালসহ ফসল দুই ফুট পানিতে ডুবে রয়েছে। খেতাছিড়া ও কচুবাড়িয়া পয়েন্টে বেড়িবাঁধ নদীর প্লাবনের হুমকির মুখে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম সরফরাজ বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন হতে পাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনা খাবার চিড়া, চিনি, তৈলসহ অন্যান্য খাবার রোববার বিতরণ করা হবে।
Comments
আরও পড়ুন





