মঠবাড়িয়ায় কলেজ অধ্যক্ষকে জুতা পেটার ভিডিও ভাইরাল

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাফা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বলকে অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন কর্তৃক জুতা পেটার ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার কলেজের অফিস কক্ষে এ জুতা পেটার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন ধানিসাফা গ্রামের আলম বেপারীর স্ত্রী। জুতা পেটার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কলেজ শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সাফা ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন কলেজের কোন নিয়ম কানুন মানেন না। এমনকি স্বাধীনতা,বিজয়,ভাষা ও জাতীয় শোক দিবসে কলেজে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় ফরিদা ইয়াসমিন প্রায় সময়ই অধ্যক্ষের কথা অমান্য করে চলেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বল সোমবার সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত কাজে প্রতিষ্ঠানে আসার জন্য বলেন। শিক্ষার্থীরা ওই দিন যথারীতি এসাইনমেন্ট জমা দিতে আসে। অধ্যক্ষ অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিনকে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রার খাতায় লিখতে বললে সে কোন কর্ণপাত করেনি। পরে অধ্যক্ষ রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে অফিস সহকারীর টেবিলে যান। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেও সামনে অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন পায়ের জুতা খুলে অধ্যক্ষকে পেটান শুরু করে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে।
এব্যাপার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বল জানান, বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাছাড়া এ বিষয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
অভিযুক্ত অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন অসুস্থ রোগী। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রায়ই আমাকে অফিসে ডেকে নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলত। যা আমি ইতিমধ্যে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।তিনি ঘটনার দিন চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে আামার সাথে আবারো অশালীন আচরণ করলে অধ্যক্ষের সাথে-বাক বিতন্ডা হয় বলে দাবী।
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে গভর্নিং বডির জরুরী সভা আহ্বান করে তদন্ত কমিটি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) বশির আহমেদ জানান, এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমরা মর্মাহত। ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী আজিজি জানান, এ ধরনের ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকি স্বরূপ। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মঠবাড়িয়া মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আজিম উল হক জানান, ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। শিক্ষক নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





