বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রী বিধবা বৌদিকে ধর্ষণের দায়ে দেবর বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা (২৮) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত বাবুল হাওলাদার উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের মৃত প্রমাংশু হালদারের পুত্র। আদালত সুত্রে জানা গেছে, এ দন্ড প্রদানের সময় বাবুল হাওলাদার পলাতক ছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের মৃত লক্ষন হাওলাদারের স্ত্রী সাগরিকা রানী ৬ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে শ^শুরের ঘরের বাড়ান্দায় বসবাস করে আসছিল। কিন্তু তার আপন ছোট দেবর বাবুল হাওলাদার প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজী না হওয়ায় গত ২০১০ সালের ১৭ আগষ্ট মঙ্গলবার গভীর রাতে বৌদির ঘরে ঢুকে মুখে গামছা ঢুকিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মেঝ দেবর রামচন্দ্র ও শ^াশুড়িকে জানালে তারা ধর্ষককে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিধবা পুত্রবধূকে বিয়ে করার জন্য সিদ্ধান্ত দেন। বিয়েতে রাজী হয়ে ধর্ষক বাবুল বিয়ের নামে কৌশলে প্রতারণা করে বৌদিকে কালী মন্দিরে নিয়ে মালা বদল করে গত ২০১১ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল। এতে বিধবা বৌদি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু ধর্ষক বাবুল পরে অন্যত্র বিয়ে করে সাগরিকাকে স্ত্রী হিসেবে মানতে অস্বীকার করে। পরে নির্যাতিতা ওই বৌদি গত ২০১১ সালের ২৩ মার্চ মঠবাড়িয়া থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমনের বিশেষ পিপি আব্দুল রাজ্জাক খান বাদশা তবে আসামী পক্ষে কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
Comments
আরও পড়ুন





