বড়মাছুয়া-রায়েন্দা ফেরীতে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের প্রতিবাদে ভূক্তভোগীদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া-শরণখোলার রায়েন্দায় বলেশ^র নদীতে সদ্য চালু হওয়া ফেরীতে চলাচলকারী যাত্রী সাধারনের কাছ থেকে খেয়া ঘাটের ইজারাদার কর্তৃক টোল আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসি। শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়মাছুয়ার বলেশ^র নদীর তীরে ওয়াপদা বেড়িবাধে ও ফেরীঘাটে এ কর্মসূচি পালিত হয়। শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা রায়েন্দা এলাকার ইজারাদারের টোলঘর গুড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ফেরীতে চলাচলকারি যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে ভূক্তভোগী জনসাধারণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ৫ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বড়মাছুয়া ইউপি সদস্য মো. কাইয়ূম হাওলাদার, সমাজ সেবক ওমর হাওলাদার, আরিফ হোসেন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন গত ১০ নভেম্বর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সরাসরি যোগাযোগের জন্য ৩ কিঃমিঃ বলেশ^র নদীতে বড়মাছূযা-রায়েন্দা সরকারী ফেরী চলাচল শুরু হয়। পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ এডভোকেট আমিরুল আলম মিলন আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ফেরী উদ্বোধন করেন। কিন্তু ফেরী চালুর কয়েকদিন যেতে না যেতেই নদীর খেয়ার ইজারাদার আব্দুস সালাম ও তার সহযোগী ফায়ারম্যান শামসুল হক রায়েন্দা ঘাট সংলগ্ন টোলঘর নির্মাান করে গত কয়েকদিন ধরে সরকারি সওজ‘র এ ফেরীতে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা করে অবৈধভাবে টোল আদায় করে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। এদিকে, টোল আদায়কে কেন্দ্র করে পাশর্^বর্তী শরণখোলার রায়েন্দায় ফেরীঘাট এলাকায় রায়েন্দা বাজারে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা ইজারাদারের টোল ঘর ভাংচুর করে।
খেয়া ইজারাদার আব্দুস সালাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- তিনি চলতি বছর নদীতে খেয়া ঘাটটি বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা এর কাছ থেকে ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৬শ’ টাকায় ইজারা নেই। কিন্তু নদীতে ফেরী চালু হওয়ার পর লোকসানের মধ্যে পড়ি। এজন্য বিভাগীয় কমিশনার খুলনা বরাবরে আবেদন করলে তিনি ফেরীতে চলাচল কারীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের নির্দেশ দেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন- খোয়ার ইজারাদার আব্দুস সালাম খেয়ায় লোকসান হওয়ায় বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় এর কাছে আবেদন করলে বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফেরীর যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় শুক্রবার বিকেল থেকে ইজারাদারকে ফেরীতে চলাচলকারীদের কাছ থেকে টোল আদায় করতে নিষেধ করা হয়।
Comments
আরও পড়ুন





