বিধবা নারী ও মেয়েকে তাড়িয়ে দিয়ে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় প্রবাসি দুলাল মিয়ার মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী ও কন্যাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বসত বাড়ি দখল করে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ওই প্রবাসির ভাই ও বোনদের বিরুদ্ধে। শুধু বসত বাড়ি দখল নয় একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ করেছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মৃত. প্রবাসি মৃত দুলাল মিয়ার মেয়ে কলেজ ছাত্রী লিমা আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার পিতা দুলাল মিয়া সৌদি আরবে কর্মরত থাকাকালীন ২০১৭ সালের ৩ জুন মারা যান। এরপর তার ছোট চাচা নজরুল ইসলাম ও ফুপু শিউলী আক্তার সকল জমি ও বাড়ি ঘর আত্মসাৎ করার জন্য পায়তারা শুরু করে। এক পর্যায় আমার মা রীনা বেগমের নামে ভূয়া তালাকনামা তৈরী করে ও আমাদের ওপর নির্যাতন চালায়। পিতার মৃত্যুর দু’মাস পর ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর আমার পিতার জে.এল ৩১ নং গিলাবাদ মৌজার এস,এ ১৮২৯ নম্বর দাগে নির্মিত পাকা বসতবাড়ি থেকে মা ও আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। সেই থেকে গত চার বছর ধরে প্রতিবেশী আপন নানা সৈয়দ হাজীর বাড়িতে বসবাস করছি। লিমা সাংবাদিকদের জানান- প্রতিপক্ষ চাচা নজরুলকে গত একমাস আগে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ডেকে বিষয়টি ফয়সালার জন্য বললে উল্টো নজরুল ৯৯৯ ফোন দিয়ে থানা পুলিশ এনে মিথ্যা হয়রানী করে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পৈত্রিক জমিজমার বিষয়ে আমি আদালতে একটি বন্টন মামলা করেছি। ওই মামলায় মা ও মেয়ে হাজিরা না দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
স্থানীয় দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক খান রাহাত এসকল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা-মেয়েকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করে আসছে নজরুল ইসলাম।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে মা ও মেয়েকে তাদের বসতঘরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের উচ্ছেদ ও হয়রানির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





