বিদ্রোহী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জামাত বিএনপি সন্ত্রাসীরা আ’লীগকে ধ্বংস করে দেবে

স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন- আ’লীগকে বাঁচাতে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অতিসত্ত্বর সকল বিদ্রোহী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। অন্যথায় জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর ভর করে আ’লীগকে ধ্বংস করে দিবে। আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, গাড়ী ভাংচুর ও কর্মচারীকে মারধরের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবী করে বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঐশী কনস্ট্রাকশনে হামলা, গাড়ী ভাংচুর ও কর্মচারীকে মারধর করে। ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর পৌর মেয়রের বাসভবন সংলগ্ন আ’লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমি কোন সন্ত্রাসী ও দ্বিধা বিভক্তির রাজনীতি সমর্থন করি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলের হাতকে শক্তিশালি করার লক্ষে সকল নেতা কর্মীকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু, দলের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি থাকায় গত সংসদ নির্বাচনে এবং উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং চরম আকার ধারণ করে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ সদস্য আশরাফুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেন। পরে তার বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচন করে বিজয়ী হন। আমি নেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সংসদ এবং উপজেলা নির্বাচনে নেতা কর্মীদের নিয়ে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করি। এতে বিদ্রোহীরা আমিসহ দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষ্ব্ধু হয় এবং বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে মঠবাড়িয়াতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং এ ঘটনায় আমি চারজন এজাহার ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে থানায় একটি মামলাও করেছি। গত ২৪ ঘন্টায় কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আ’লীগ সহ-সভাপতি সাবেক কমিশনার হেমায়েত উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান আকন, উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফজলুল হক মনি, জেলা পরিষদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন হেলাল মুন্সি, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত, ইব্রাহিম খলিল ফরাজী, এবিএম ফারুক হাসান, রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার, নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হারুন অর রশীদ তালুকদার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফুল ইসলাম রাজু প্রমুখ।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সদস্য রিয়াজ উদ্দিন তিনি ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক নিজেরাই হামলার নাটক সাজিয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
Comments
আরও পড়ুন





