বিএনপি নেতা হাবিব হত্যার প্রতিশোধে মামলার আসামী ইদ্রিস তালুকদারের ওপর হামলা

স্টাফ রিপোর্ট : মঠবাড়িয়ার বহুল আলোচিত সাফা ইউপির ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হাবিব তালুকদার হত্যা মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামী ইউপি মেম্বর ও ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস তালুকদারকে পিটিয়ে দুই পা ও ডানহাত ভেঙে দিয়েছে ওই বংশের প্রতিপক্ষরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার তুষখালী লঞ্চঘাট সংলগ্ন তিন রাস্তার মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইউপি সদস্য ইদ্রিস তালুকদারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বেড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ২নং ধানীসাফা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস তালুকদার মঙ্গলবার বিকেলে পরিষদ থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বুড়িরচর গ্রামের তুষখালী বাস স্ট্যান্ডে হাবিব হত্যার প্রতিশোধ নিতে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময় তাকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়ে গুরুতর জখম করে।
ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন তালুকদার অভিযোগ করেন, নিহত হাবিব তালুকদারের ছোট ভাই শাহীন তালুকদার ও তার সহযোগী খলিল মোল্লা, স্বপন তালুকদার, শাহ আলম তালুকদারের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি দুর্বৃত্তদল ইদ্রিস তালুকদারের মটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে তারা হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ইদ্রিস তালুকদারের হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। পরে এলোপাথারি কোপালে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে স্থানীয় শহিদুল তালুকদারের বাড়ির পিছনে উলঙ্গ অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের বিএনপি নেতা হাবিব তালুকদার নিখোঁজের দু’দিন পর তার লাশ তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে পাওয়া য়ায়। এঘটনায় নিহতের কলেজ পড়ুয়া পুত্র হাফিজুর রহমানের মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ইদ্রিস তালুকদার এজাহারভুক্ত ২নং আসামী। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস তালুকদার উচ্চ আদালতে জামিনের পর বর্তমানে নিম্ন আদালতের জামিনে রয়েছেন। বর্তমানে ওই হত্যা মামলাটি সিআইডি’র তদন্তাধীন রয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





