ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম সমাপ্তির পর আবারও সুন্দরবনের দাসের ভারানীর এলাকায় আগুন

বিশেষ প্রতিনিধি, শরণখোলা: বাগেরহাটের শরণখোলায় পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানীর আগুন নিভে যাওয়র পর আবারও আগুন দেখতে পাওয়া গেছে। বুধবার (৫ মে) সকালে খবর পেয়ে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রনের কাজ শুরু করে।
বুধবার দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেয়া যায়, ফায়ার সার্ভিস বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি দল সকাল ১০টা থেকে বনের গহিনে বিভিন্ন জায়গায় পাইপ লাইন টেনে পানি ছিটানোর কাজ করছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী, আ. রহিম হাওলাদার (২২) ও মো. রুবেল হাং, আবুল হাসান (২৪) বুধবার দুপুরে জানান, আগুন লাগার চতুরদিক প্রায় আড়াই কি.মি. জায়গা হবে। আগুন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রন হয়নি। বিভিন্ন স্থানে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। অথচ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাটের উপ পরিচালক মোঃ গোলাম সরোয়ার তাদের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করতে গঠিত বনবিভাগের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
আগুন লাগার বিষয় জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকে বলেন, চাদপাইঁ রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশন থেকে রেনু পোণার পাশ নিয়ে নিশানখালী, শ্যালা, দুধমুখী খালে পোণা আহরণ করতে যায়। সেখান থেকে মাছ নিয়ে হেটে সরাসরি নাংলি আসে। তখন হয়ত ওই জেলেদের বিড়ির আগুন থেকে লাগতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা আঃ সাত্তার জানান, আগুন মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনে ছিল। হঠাৎ করে দু-একটি জায়গা থেকে জ্বলে উঠতে দেখা গেছে। আগুনে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। তবে বড় ধরনের গাছপালা নষ্ট হয়নি।
বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রন হয়েছিল হঠাৎ করে বুধবার সকালে কিছু কিছু জায়গায় জ্বলতে দেখা যায়। এখবর পেয়ে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস বন সংলগ্ন এলাকার কিছু শ্রমিক নিয়ে নিয়ন্ত্রন করেছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যপারে শরণখোলা রেঞ্জে কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





