প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার: কনের বাড়িতে বর পক্ষ। ধুমধামেই শুরু হবে বিয়ের আয়োজন। রান্না বান্নার কাজও প্রায় শেষ। বয়স না হলেও বাল্য বিয়ের পরই হবে খাওয়া ধাওয়া। কিন্তু বাধ সাজল প্রশাসন। প্রশাসন কনের বাড়িতে হাজির হওয়ায় ভেস্তে গেল বিয়ের সব আয়োজন।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিপা আক্তার (১৪) প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল। উপজেলার হলতা গ্রামে কনের বাড়িতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে এ বাল্য বিয়ের পন্ড হওয়ার ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হলতা গ্রামে শিপন খানের মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী নিপার সাথে পাশর্^বর্তী বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা গ্রামের মোতালেব সরদারের ছেলে মনোয়ার হোসেন (২৬) এর সাথে বিয়ের আয়োজন করে দুই পরিবার। বুধবার বিকালে বিয়ের আয়োজন চলছিল কনের বাড়িতে। বর মনোয়ার (২৬) আত্মীয় স্বজন নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত। মেহমানদের জন্য রান্নাবান্নার আয়োজনও শেষ। ভূক্তভোগি মাদ্রাসা ছাত্রী রাজি না থাকলেও বর ও কনের পরিবারের সম্মতিতেই হচ্ছে বিয়ের আয়োজন।
স্থানীয়রা বাল্যবিয়ের বিষয়টি গোপনে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। বিয়ের কাজি বিয়ের কাজ শুরুর আগেইে বিয়ে বাড়িতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির হন। পরে বর ও কনের অভিভাবকসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাসের ভ্রাম্যমান আদলতে হাজির করলে একই সাথে বরের বাবা ও কনের বাবা ও মার কাছ থেকে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না-দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নেওয়া হয় এবং বরের বাবা মোতালেব সরদারকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়।
Comments
আরও পড়ুন





