প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ছবি জুড়িয়ে দেয়ায় ফেসবুকে ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাংসদ মাশরাফী বিন মতুর্জার ছবির সাথে মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আশরাফুর রহমানের ছবি ফটোশপ করে জুড়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। মো. নজরুল ইসলাম ব্যাপারী নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার আইডি থেকে গত ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ওই পোষ্টে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নড়াইলের সাংসদ ও জাতীয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার একটি ছবি এডিট করে মাশরাফির স্থলে আশরাফুর রহমানের ছবি দিয়ে তা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। উপজেলার ৭নং বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ব্যাপারী তার ফেসবুক আইডিতে ছেড়ে দেয়। তিনি ওই পোষ্টে লেখেন, ‘মায়ের কাছে সন্তান যেমন আদরের, তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আদরের হচ্ছেন আশরাফুর রহমান।’ পরে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাশরাফির ছবি এডিট করে আশরাফুর রহমানের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। এটি ভাইরাল হওয়ার পর ফেসবুক ব্যবহারীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং অনেকে নিন্দ্বা জানান। ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, ‘আমি ঢাকা যাওয়ার পথে একটি অপরিচিত আইডিতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আশরাফুর রহমানের ছবিটি পেয়ে আমার ওয়ালে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করি। বিষয়টি আমি মনে করেছি ছবিটি সঠিক। পরে যখন জানতে পারি ছবিটি এডিট করা তাৎক্ষণিক ছবিটি আমার ফেসবুকের আইডি থেকে ডিলেট করে দিয়েছি। এজন্য আমি ফেসবুক আইডিতে ক্ষমাও চেয়েছি।
পিরোজপুর জেলা আ’লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের মুঠোফোনে বলেন, জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার এডিট করা ছবি পোষ্ট দেখার পরপরই আমি টাইমলাইনে এটি একটি জঘন্য অপরাধ বলে স্টাটাস দেই। যারা এটা করেছেন তারা এটা বন্ধ করুন। তিনি আরও বলেন, আমি ঢাকায় আছি। মঠবাড়িয়ায় এসে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ ধরনের নিন্দনীয় কাজ কে করেছেন, তাঁকে চিহ্নিত করা যায়নি। শনাক্ত করা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





