প্রতিবেশীর যখন করোনা পজিটিভ….ডাঃ আলী হাসান

মঠবাড়িয়ায় করোনা এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে আছে। অর্থাৎ ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। তাই আমাদের অতিরিক্ত সাবধানতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে কারোর যে কোন সময় করোনা হতে পারে। অন্যের ঘরে হবে কিন্তু নিজের ঘরে হবে না এমন ভাবার অবকাশ নাই। আমার প্রতিবেশী আমার ভাই। এক সাথে আমরা কত গল্প করেছি, বাসায় দাওয়াত খেয়েছি এবং খাইয়েছি, কিন্তু এখন কি হলো, করোনার কারণে সকল সম্পর্ক শেষ? সে কিন্তু কিছু দিন পরেই সুস্থ্য হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের এ অসুস্থ্য মানসিকতার ব্যবহার তার অন্তরে আজীবন কষ্ট দিবে। তাহলে কি করলে আমরাও নিরাপদ থাকবো এবং তিনিও আমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন। যেহেতু করোনা হতে সুস্থ্য হতে ১০ দিন সময় লাগে তাই আমরা তার বাড়ির পাশের ১০টি পরিবার তার ১০ দিনের দায়িত্ব নিতে পারি এবং যে কাজগুলো আমরা দৈনিক করতে পারি সেগুলো হলোঃ
১। দৈনিক ফোন করে কুশলাদি এবং তার প্রয়োজন জানতে পারি;
২। আমার ঘরের সামান্য রান্না করা খাবার ৫/১০ টাকা দামের প্লাস্টিকের বাটিতে অথবা রসমালাইর বাটিতে তার দরজার কাছে রেখে তাকে ফোনে বলতে পারি;
৩। তাকে মানসিক শক্তি যোগানোর কথা বলতে পারি যে, ভয় পেয়ো না। আমরা আছি তোমার পাশে সব সময়;
৪। তার জন্য সামান্য শাক সবজি, চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকলে মিলে অর্থ সহায়তা তুলে কিনে ঘরের সামনে রেখে আসতে পারি;
৫। তার ঘরের ছাদ বা উঠানে তাকে মাস্ক পরে হাটা-চলা করতে বলতে পারি। প্রয়োজনে আমরা ১০ দিন ওই সময় বাড়ির ছাদে উঠলাম না অথবা উঠানে ওই সময় হাটলাম না;
মনে রাখতে হবে আমাদের অল্প সহায়তা হয়তোবা তার আজীবন চলার পাথেও হয়ে থাকবে। আমরা সবাই মানুষ। আমরা সবাই সকলের বিপদে এগিয়ে আসব, সকলের পাশে সকলে থাকবো।
লেখকঃ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
Comments
আরও পড়ুন





