পূর্ব শত্রুতার জের মিটাতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে মাছ মারার অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ধানীসাফা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে জব্ধ করতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ মারার অভিযোগ ওঠছে। এ ঘটনার তিন দিন পর গতকাল মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) মঠবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হামিদ হাওলাদার (৮০) বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মানিক, রুহুল ও রুস্তুমসহ ৭জনকে আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান মিলুকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধানীসাফা গ্রামের মৃত. মোন্তাজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র বৃদ্ধ হাজী আবদুল হামিদ হাওলাদারের সাথে একই বাড়ীর মৃত. মহব্বত আলীর পুত্র চাচত ভাই রুস্তুম আলী গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দু’পক্ষের আদালতে মামলাও বিদ্যমান। এর মধ্যে সম্প্রতি ওই বাড়ীর সামনের মসজিদের পুকুরের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। মসজিদের এজমালী পুকুরে হামিদ ও ছোট ভাই সোহরাবসহ কতক অংশীদার মসজিদের ব্যয় নির্বাহের জন্য পুকুরে মাছ চাষ শুরু করে। এতে পুকুরে মাছ চাষে বিরোধিতা করে প্রতিপক্ষ রুস্তুম, মানিক ও খলিলসহ অন্যরা। এর জের ধরে গত ৩ জানুয়ারী রাতে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করলে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে যায়। এসময় মুসল্লীরা বৈদ্যুতিক আলোতে দেখতে পেয়ে এর প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা ঘরে আগুন দেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ রুস্তুম আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চলমান শত্রুতায় আমাদেরকে জব্দ করতে নিজেরাই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে আমাদের ওপর দোষ দিচ্ছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





