পুলিশ হেফাজত থেকে অপহরণ মামলার আসামী পলায়ন ॥ গ্রেফতার-১
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মঠবাড়িয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অসীম (অপহরণকারীর বড় ভাই) নামের এক যুবকে থানায় দিলে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে অপহরণকারী সুজন মালাকার, বড় ভাই অসিম মালাকার ও আত্মীয় সুবলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দিয়ে বড় ভাই অসিমকে হাতেনাতে ধরে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা থানায় সোপর্দ করে। এসময় অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাজহারুল আমীন (বিপিএম) আসামী অসিমকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানার এসআই আ: রহমানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু অসিম পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ অপহরণকারী সুজন মালাকারের বাবা রঞ্জন মালাকারকে ওই রাতেই গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার গয়ালী পাড়ার বাসিন্দা ও শহরের এম কে জুয়েলার্সের মালিক তপন কর্মকারের মেয়ে সরকারী হাতেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তন্দ্রা কর্মকার (১৫) কে তার বাবার দোকানের কর্মচারী ও দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের রঞ্জন কর্মকারের পুত্র সুজন মালাকার দীর্ঘদিন ধরে বিরক্তসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে ওই স্কুল ছাত্রী পাত্তা না দিয়ে তার অভিভাবকদের জানালে দোকান কর্মচারীকে শাষায়। এতে ক্ষুব্দ হয়ে সুজন গত সোমবার (২০ মে) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক মটর সাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়া যায়। ওই ছাত্রীর বাবা জানান, এ ঘটনায় সুজন, অসিমসহ জ্ঞাত ৩জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন এবং অসিমকে হাতে নাতে ধরে থানায় সোপর্দ করে।
গত মঙ্গলবার থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মাহাবুব জানান- স্কুল ছাত্রীর বাবা সকালে লিখিত অভিযোগসহ অসিম নামের একজন থানায় দিয়ে গেলেও কাজে ব্যস্ত থাকায় পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবী করেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, ছুটিতে থাকার পর মঙ্গলবার রাতে থানায় যোগদান করে স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় মামলা রেকর্ড করি। আসামী পালানোর ঘটনাটি তাৎক্ষণিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এঘটনায় অপহরণকারীর পিতা রঞ্জন মালাকারকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, আসামী পালানোর বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পুলিশের গাফলতির প্রমান পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





