নির্বাচনী সহিংসতায় যুবলীগ নেতার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ॥ গ্রেপ্তার-১

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৫ জানুয়ারী পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রচারণায় আ‘লীগ প্রার্থীর সমর্থক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বিপ্লব (৪০) এর হাতের কব্জি বিচ্ছিনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ধানীসাফা ইউপির আলগী বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা এসময় আরও ২জন আহত এবং ৩টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ গুরুতর জখম বিপ্লবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় ফরিদ নামের একজনকে রাতেই থানা পুলিশ আটক করেছেন। বিপ্লব বেপারী সাফা গ্রামের মৃতঃ নূর উদ্দিন বেপারীর ছেলে। তিনি ধানীসাফা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। বিপ্লবের বড় ভাই বাচ্চু বেপারী ওই ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি।
বাচ্চু বেপারী অভিযোগ করেন- বুধবার সন্ধ্যায় বিপ্লব ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের নৌকা মার্কার স্টীকার লাগানো নিয়ে আলগী বাজারে দলীয় কার্যালয়ে যান। রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রফেসর রফিকুল ইসলামের (চশমা প্রতীক) সমর্থক আলগী গ্রামের ফরিদ আকনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিপ্লব বেপারীর ওপর হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারী কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এতে তার বাম হাতের কব্জি এবং ডান হাতের একটি আঙ্গুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে একাধিক জখম হয়। স্থানীয় লোকজন আতংকে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদার বলেন, বিপ্লবের হাতের কব্জি জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। কব্জি ও একটি আংগুল ফেলে দিতে হবে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা বিপ্লবকে কুপিয়ে জখম করেছে।
তবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো সন্ধ্যার পর স্থানীয় করিম আকন বাজার এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা তার দুই সমর্থক অনিক (২৫) ও কলেজ ছাত্র আরাফাত (২০) কে আহত করে এবং তিনটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। তিনি আরও অভিযোগ করেন এ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ৭নং ওয়ার্ডের নীরিহ কর্মি পাতাকাটা গ্রামের আঃ রবের পুত্র ফরিদুল (৪৫) আটক করেছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল একজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত) লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





