নির্বাচনী সংঘর্ষ : মহাজোট সমর্থক মামলার বাদীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনে মহাজোট প্রার্থী ডা: রুস্তম আলী ফরাজীর সমর্থকদের ওপর মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলায় স্থানীয় সাপলেজা ইউপির ৮ নং বুখইতলা বান্ধবপাড়া ওয়ার্ডের আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মুন্সী (৫৬), ওই ইউপির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন (৩৫), মো: এনামুল হক (২৮), জসিম হাওলাদার (২৫) আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গুরুতর আহত মজিবুর রহমান মুন্সি ও আলাউদ্দিনের অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা মজিবুর রহমান মুন্সি জানান, গত ১২ ডিসেম্বর আ.লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের সমর্থক ও সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়ার নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একটি দল বুখইতলা বান্ধবপাড়ায় মহাজোট প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও আমার ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার ৫দিন পর ১৬ ডিসেম্বর আমি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়াসহ ১৯জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৪০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করি। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। আমি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করায় আপেল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমানের সমর্থক মামলার আসামী মিরাজ মিয়া, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সওগাতুল আলম সুমন ও লিমনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিলপুর বাজারের চৌরাস্তায় যাওয়া মাত্রই আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমরা ৪জন গুরুতর জখম হই।
এ ব্যাপারে সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিরাজ মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই মজিবুর মুন্সীর দায়ের করা একটি মামলায় আমাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় আমি গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে থাকি। ওই এলাকায় গিয়ে হামলার প্রশ্নই ওঠেনা। আপেল সমর্থকদের মিছিলের ওপর মজিবুর মুন্সীর নেতৃত্বে হামলা হলে স্থানীয় জনতা তাদের ওপর হামলা চালায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এম.আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





