ধানীসাফায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচা ভাতিজা কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আজ মঙ্গলবার সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন চাচা ও তার দলবলের ধাড়ালো অস্ত্রের কোপে অনার্স পড়–য়া ভাতিজা মোঃ সোহাগ(২১)গুরুতর জখম হয়েছে।এসময় পুত্রকে হামলার হাত হতে রক্ষা করতে এলে প্রতিপক্ষরা তার মা জাহানারা বেগম(৪০)কেও পিটিয়ে আহত করে।স্বজনরা আহত মা ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে।আহত সোহাগ উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে ও পার্শবর্তী ভান্ডারিয়া আমানউল্লাহ কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়-উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক হাওলাদারের পুত্র আব্দুল মালেকের সাথে ছোট ভাই মনির হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বসত বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।বড় ভাই মালেক বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই বিরোধীয় জমিতে ছোট ভাই মনির মঙ্গলবার সকালে লোকজন নিয়ে কাটতে গেলে পুত্র সোহাগ বাঁধা দেয়।এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় মনির ও তার পুত্র শামিমের নেতৃত্বে ৪/৫জনের একটি দল ধাড়ালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে কলেজ ছাত্র সোহাগের মাথায় গুরুত্র জখম হয়।ও ডান হাত ভেংগে যায়।আহত ওই কলেজ ছাত্রের মা তিন সন্তানের জননী জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন-পুত্রেকে এলোপাতারি কোপাতে দেখে দৌড়ে ছেলেকে বাচানোর চেষ্ঠা করলে দেবর মনির ও তার পুত্র শামিম তাকেও বেদড়ক মারধোর করলে তিনিও আহত হন। এ ঘটনা ঘটিনার অভিযুক্ত মনির গা ডাকাদেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
মঠবাড়িয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল কুদ্দুস জানান-খবর পেয়েই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।ঘটনায় জড়িত মনিরসহ অন্যদের আটকের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)নূরুল ইসলাম বাদল –বলেন এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





