ধর্ষণ-হত্যা: মনবতা কোথায়?

মো: রুবেল মিয়া নাহিদ: বেড়েই চলেছে আগুনের শিখার মত। কম ঘটনাতো ঘটছে না তাহলে কেন থামানো যাচ্ছে না এই ধর্ষণ-হত্যা? দেশব্যাপী হঠাৎ বেড়ে গেছে ধর্ষণের ঘটনা। খবরের কাগজ ওল্টালেই ধর্ষণের খবর। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশুও। এছাড়া শিশুরা নির্যাতনের শিকার হলেও নানা পারিপার্শ্বিক কারণে তারা বিচার চাইতে পারে না। শিশু নির্যাতন বন্ধ না হওয়ার এটিও বড় কারণ। যে হারে শিশুহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ চলছে সেটা যে কোনো সুস্থ সমাজের জন্য অশনি সংকেত। একটি সভ্য সমাজ এভাবে চলতে পারে না। অশ্লীলতার আগ্রাসনে মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অভাব ও সামাজিক অবয়ে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে গত ছয় মাসে ৬৩০ জন নারী ধর্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের পর ৩৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আর ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে অন্তত ৭ জন।
বহু ঘটনাই ছলে-বলে-কৌশলে ডর-ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়। ফলে, অপ্রকাশিত সেসব ঘটনা এই পরিসংখ্যানের বাইরেই থেকে যায়। এই দৃশ্যগুলো কেমন করে মেনে যায় এই ২০১৯ সালে এসে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কাছেই আমাদের সকল ভরসা। আপনি প্রথম দেখিয়েছেন আমরাও পারি বিচারহীনতাকে চ্যালেঞ্জ করতে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আপনি দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। এদেশের আপামর মানুষ আপনার উপর ভরসা রেখেছে। আমরা চাই আপনার হাত ধরেই আসুক এই বাংলার বুকে মুক্তি। সকল ধর্ষণ-হত্যা বিচার নিশ্চিত হোক। একটি ঘটনাও যেন বিচারের বাইরে চলে না যায় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
Comments
আরও পড়ুন





