দ্বি-খন্ডিত করার গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়া উপজেলাকে দ্বি-খন্ডিত করার গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশ। রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে শহরের ব্যাংক পাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর।
আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩১ মার্চ কতিপয় স্বার্থন্বেষী চিহ্নিত রাজনৈতিক মহল মঠবাড়িয়ার কয়েকটি ইউনিয়নকে দ্বি-খন্ডিত করার গুজব ছড়িয়ে দিয়ে মঠবাড়িয়াবাসীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রাযাত্রার বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জামায়াত, বিএনপির সাথে আতাত করে কতিপয় ব্যক্তির এ গভীর ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, এ মহলটি এ আসন থেকে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্ষিয়ান নেতা প্রায়ত মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা মাহমুদা সওগাত ও আ’লীগ নেতা ডাঃ আনোয়ার হোসেনকে নীল নকশার মাধ্যমে পরাজিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে তাদের সমর্থিত অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের প্রার্থীরা পরাজিত হওয়ায় জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানের চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা মঠবাড়িয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পাশ^বর্তী তেলিখালী ও ইকরি ইউনিয়নকে সম্পৃক্ত করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র গঠনের মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন। অথচ জনগণ তাদের মিথ্যা প্রগান্ডা বুঝতে পেরে তাদের ওই দিনের মিছিল মিটিং ও স্মারক লিপি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি আরও বলেন, নতুন উপজেলা বা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হতে হলে আড়াই লাখ জন সংখ্যার প্রয়োজন। তাছাড়া রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ফোরামের সিদ্ধান্ত অপরিহার্য ও স্থানীয় এমপি ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত প্রয়োজন। যারা মিছিল মিটিং ও স্মারক লিপি দিয়েছেন তাদের কাছে এধরনের কোন যুক্তিযুক্ত নথি নেই ও কাউকে দেখাতে পারননি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম মিঞা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন আফজাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরিফ উল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল আলম ঝনো, রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার, লোকমান হোসেন খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফজলুল হক মনি, ইউপি চেয়াম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন, ফজলুল হক খান রাহাত, হারুন অর রশিদ তালুকদার, নাসির হোসেন হাওলাদার, আবু হানিফ খান, যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আহম্মেদ নওরোজ প্রমূখ।
Comments
আরও পড়ুন





