দীর্ঘদিন ষ্টীল ব্রীজ সংস্কার না করায় মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটাবাসীর চলাচলে ভোগান্তী
দিলীপ মজুমদার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের স্থানীয় সাপলেজা আবাসন সংলগ্ন দুটি বেইলী ব্রিজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপকূলীয় দু’উপজেলার সড়কের ব্রীজ দুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বহু আগেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে নাজুক ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন দু’উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করতে গিয়া দূর্ঘটনাসহ নানা ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
প্রতিদিন ওই চলাচল অনুপযোগী ব্রিজ দিয়ে চলতে গিয়ে সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স, মাহিন্দ্র সহ রিক্সা ও ভ্যানের চাকা ঢুকে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ও মৎস্য আহরণ কেন্দ্র পাথরঘাটার চরদুয়ানীগামী সড়কের আবাসন সংলগ্ন দু’টি ব্রীজের অবস্থাই নাজুক। একটি থেকে আরেকটি ব্রীজের দুরত্ব ৫শ ফুট। বহু পুরনো ব্রীজের স্লিপারে মরিচা ধরে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এ ব্রীজ দু’টি বিগত এরশাদ সরকার আমলের। আবার স্থানীয় কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সদ্য সমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান, নাজুক ব্রীজ দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এছাড়া চলতি ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার্থী তামিম জানান, লায়লা মালেকিয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে ব্রীজের খাদে পড়ে আহত হয়েছেন। মাহেন্দ্র ড্রাইভার আঃ রহমান জানান, যাত্রী নামিয়েও খুব সাবধানে ব্রীজ পার করলেও ব্রীজের অবস্থা এতই নাজুক যে প্রায়ই গাড়ীর চাকা ডুকে পড়ে।
সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিরাজ মিয়া জানান, গত প্রায় ২৫/৩০ বছর আগের এ ব্রীজ দুটি নির্মানের পর গত ৫ বছর আগে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে মাঝখানে কর্তৃপক্ষ সংস্কার করলেও বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। দুই উপজেলার জনসাধারণের চলাচলকারী এ নাজুক ব্রিজ দিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী পিকআপসহ জনসাধারণ খাদের মধ্যে পড়ে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি। তারা জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করে দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম ওই ব্রিজ দুটি সহ বহু পুরনো কয়েকটি স্টিল ব্রিজ নাজুক অবস্থায় আছে স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অর্থ বরাদ্ধ পেলে ব্রিজ সংস্কার করা হবে।
Comments
আরও পড়ুন





