দাখিল শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: মঠবাড়িয়ার পাঠাকাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে প্রায় ৪১ জন শিক্ষার্থীরা দুপুর পর্যন্ত প্রবেশ পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে। খবর পেয়ে সাংবাকিরা ওই মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ও সাংবাদিকদের চাপের মুখে ওই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দিতে বাধ্য হয়।
সরেজমিনে গেলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (যার রোল নং-২২৪৯৪০) ও নাসরিন (রোল নং- ২২৪৯৪৩), শারমিন (রোল নং- ২২৪৯৩৯) জানায়, ওই মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক কিরন শংকর আমাদের কাছে প্রবেশ পত্রের জন্য তিন হাজার টাকা দাবি করে। আমরা তিন জনেই তিন হাজার করে টাকা অনেক আগেই পরিশোধ করি। বাকী অনেক শিক্ষার্থী টাকা পরিশোধ না করায় সবার প্রবেশপত্র আটক রাখে এবং শনিবার পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনূষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থীদের ধার্যকৃত টাকা পরিশোধ করে প্রবেশ পত্র নিতে বলা হয়। রোববার পরীক্ষা তার আগের দিন দুপুর পর্যন্ত প্রবেশপত্র আমরা না পেয়ে মানষিক ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়ি। ওই মাদ্রাসার অপর আর এক শিক্ষার্থী সুমি আক্তার জানায়, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ধার্য্যকৃত তিন হাজার টাকার দুই হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বাকি এক হাজার টাকা নিয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। যা আমাদের পড়াশুনায় অনকটাই বিঘœ ঘটে। মাদ্রাসার অপর ছাত্র ইকবাল হোসেন বলেন- প্রবেশ পত্রের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট বহু অনুনয় বিনয় করে ২হাজার ৫শ” টাকা দেই।
ওই মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন- শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছিনা না।
এব্যাপারে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক কিরণ শংঙ্কর প্রবেশপত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ফরম ফিলাপ ও পরীক্ষা চলাকালে অন্যান্য বাবদ যে খরচ ধরা হয়েছিল তা সভাপতির নির্দেশে ধরা হয়েছিল। যা অনেক শিক্ষার্থী পরিশোধও করেনি। প্রবেশপত্র বিতরণে বিলম্বের কারণ সর্ম্পকে তিনি আরও বলেন- মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঃ রব হাওলাদার ঢাকায় থাকায় তার উপস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সে কারণে প্রবেশপত্র দিতে বিলম্ব হয়।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঃ রব হাওলাদার ঢাকায় থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার (মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, মৌখিক ভাবে খবর পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক ও অভিভাবকদের উপস্থিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে শনিবার দুপুরে প্রবেশপত্র বিতরণ করি।
উপজেলাা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ বশির আহম্মেদ বলেন- সকল পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসা প্রধানদের সাথে মিটিং করে বোর্ড নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র বাবদ ৩শ’ টাকা ধার্য্য করা হয়। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





