দাউদখালী যুবলীগ সভাপতিকে কুপিয়ে জখম ॥ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মো. শহীদ সরদার (৪০) কে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ সময়ে ওই যুবলীগ নেতাকে বাচাতে এলে তার বড় ভাই বাচ্চু সরদার (৫২) কে প্রতিপক্ষরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় ২ সহোদরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়। যুবলীগ নেতা শহীদ সরদারের অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন গভীর রাতেই তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। শহীদ সরদার ও বাচ্চু সরদার উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের মৃত. আনোয়ার হোসেন সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় শহীদ সরদারের বড় ভাই ফরিদ উদ্দিন চুন্নু বাদী হয়ে আমিরের পুত্র হানিফ ও ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি বজলুর রহমানসহ ৮জন এজাহার নামীয় ও ৩জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর আগে ঝালকাঠী শহরে স্বর্ণের দোকানসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যুবলীগ নেতা শহীদ সরদার দাউদখালীর দুর্ধর্ষ ডাকাত আমির হামজাকে আইন শৃংখলা বাহিনীকে গ্রেফতারের সহযোগিতা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমির ও তার দলবল শহীদের ওপর প্রতিশোধের সুযোগ খুজতে থাকে। এক পর্যায় যুবলীগ নেতা শহীদ সরদারের সাথে খায়ের ঘটিচোরা মাদ্রাসার সহ-শিক্ষক আঃ সালাম শনিবার রাতে মিরুখালী বাজারে দলিল লেখক সিদ্দিক জমাদ্দারের ঘরে বসে জমিজমা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখছিল। এসময় প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা বজলুর রহমানের নির্দেশে কুখ্যাত ডাকাত আমির হামজার পুত্র আবু হানিফের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে শহীদকে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। এ সময় শহীদের ডাক চিৎকারে তার বড় ভাই বাচ্চু সরদার বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুরে যুবলীগ নেতার বড় ভাই ফরিদ উদ্দিন চুন্নু বাদী হয়ে ৮জন এজাহার নামীয় ও ৩জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আ: হক জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Comments
আরও পড়ুন





