দমকল বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগ! মঠবাড়িয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দশ দোকান ভস্মীভূত॥ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার : মঠবাড়িয়া পৌর শহরে বুধবার সকালে কাপুড়িয়া পট্টিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি বসত ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে। একটি মোমবাতি কারখানা (খোলা বাতি) থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে জানা যায়। স্থানীয় জনগণ ও মঠবাড়িয়া দমকল বাহিনী প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দমকল বাহিনী ও ক্ষতিগ্রস্থ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঝন্টু মালের মোমবাতির কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মহুর্তের মেধ্য আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রবীন ব্যবসায়ী মরহুম মতিয়ার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেনের মালিকানাধীন ভাড়াটিয়া দোকান গুলোর নগদ অর্থ, টিভি, ফ্রীজ, ফ্যান, ডেকরেটর সামগ্রী ও ট্রেইলার্সের কারখানাসহ গুদাম ঘর আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়।
আগুনে সর্বস্ব হাড়ানো ট্রেইলার্সের মালিক কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আগুন লাগার সাথে সাথে মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও আধা কিলোমিটার দূরত্বের অফিস থেকে আসতে দমকল বাহিনীর প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে।
প্রবীন ব্যবসায়ী মরহুম মতিয়ার রহমানের নাতি জাকারিয়া পিন্টু অভিযোগ করেন, বিলম্বে হেলমেট ছাড়া দমকল বাহিনী আসলেও পাম্পে পানি নাই অজুহাতে আগুন নিভানোর কাজে কালক্ষেপন করে।
ফায়ার সার্ভিস মঠবাড়িয়ার স্টেশন অফিসার মো: সুমন ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই সময় তুষখালীতে মহরায় থাকায় ঘটনাস্থালে পৌছতে বিলম্ব হয়। তিনি আরও জানান, অপ্রসস্ত রাস্তা, পুরানো গাড়ি এবং শহরে পানির ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা হয়েছে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান জানান, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এব্যবপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. সরফরাজ জানান, ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে গাফলতির মৌখিক অভিযো পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
আরও পড়ুন





