তৃতীয় দফায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম ॥ থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তৃতীয় দফার যৌতুকের দাবীকৃত তিন লাখ টাকা না পাওয়ায় ফাতিমা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে স্বামী, শ্বশুর ও তাদের দলবল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের তেতুলবাড়ীয়া গ্রামে। স্থানীয়রা গুরুতর জখম গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ ফাতিমা বেগম বাদী হয়ে বুধবার গভীর রাতে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের মেয়ে মাহামুদা বেগমের সাথে প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহিমের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। ওই সময় দুই লাখ টাকার মালামাল দিয়ে ফাতিমার পিতা তাকে স্বামীর গৃহে তুলে দেয়। এর কিছুদিন পর মোটরসাইকেল কেনার কথা বলে ফাতিমার কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। শ্বশুর মোটরসাইকেল কেনার জন্য জামাইকে ৭০ হাজার টাকা দিলে ওই টাকা ইব্রাহিম খরচ করে ফেলে। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই ঢাকায় টেইলার্সের দোকান দেবার কথা বলে ইব্রাহিম আবারও ফাতিমার বাবার কাছ থেকে চার লাখ টাকা যৌতুক নেয়। পরে ইব্রাহিম গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে দোকানে মালামাল কেনার কথা বলে পুনরায় স্ত্রীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। উক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বুধবার সন্ধ্যায় শাশুড়ি ও ননদের প্ররোচনায় স্বামী, শ্বশুর, দেবর মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে ফাতিমা বেগমকে স্বামীর বসত ঘর থেকে চুলের মুঠি ধরে মারধর ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ফাতিমা গত ২ দিন ধরে মঠবাড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ছরোয়ার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই গৃহবধুর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের জোর তৎপরতা চলছে।
Comments
আরও পড়ুন





